শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি:
দেশে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়িত গ্রামগঞ্জে বাড়ছে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
ছাগল পালন ও প্রজনন কর্মসূচির আওতায় জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক মানুষ। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্য তারা খামারে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল লালন পালন করছেন। গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ছাগল পালন। দেশে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামার করে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন অনেক খামারি। পিছেয়ে নেই পাবনা জেলার খামারিরাও।
কথা হয় পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া এলাকার ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামারি ফরিদা খাতুনের সাথে। একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, তিনি প্রায় ২০ বছর যাবত ছাগল লালন পালন করছেন। বর্তমানে তার খামারে ৮ থেকে ১০ টি ব্লাক বেঙ্গল ছাগল রয়েছে।
তিনি আরো জানান, একটি ছাগল বছরে দুইবার এক থেকে একাধিক বাচ্চা দিয়ে থাকে। প্রতি ছাগলের বাচ্চা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকেন তিনি।
তেমনি একজন খুশিনা বেগম। তিনি পাঠা পালন লাভজনক হওয়ায় তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে পাঠা লালন পালন করছেন। তার খামারে দুইটি পাঠা থাকলেও ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় তাকে বিনামূল্যে পিওর ব্লাক বেঙ্গল পাঠা দেওয়ায় তার খামারে এখন পাঠা রয়েছে চারটি। এগুলো পাঠা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকনে তিনি।
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আল-মামুন হোসেন মন্ডল এর দেওয়া তথ্য মতে, ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রতি ইউনিয়নে দুইজন করে মোট ১৪৮ জন সুফলভোগীকে বিনামূলো ছাগলের প্লাস্টিকের আধুনিক মাঁচা ঘর নির্মাণ, বিনামূল্যে ভিটামিন, মিনারেল, ছাগলের বাচ্চার দুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৮ জন সুফলভোগীকে বিনামূল্যে দুইটি করে মোট ৩৬টি পিওর ব্লাক বেঙ্গল পাঠা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও আধুনিক পদ্ধতিতে ছাগল পালনে তাদের একাধিকবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরো বলেন, ব্লাক বেঙ্গল ছাগল প্রতি বছর দুইবার বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবার দুই থেকে তিনটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। এর মাংস অনেক সুস্বাদু এবং এই ছাগলের রোগ বালাই অনেক কম হয়। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল দারিদ্র বিমোচন, নারীর উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে