আব্দুল্লাহ আল হাসিব, মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধিঃ
যশোরের মণিরামপুরে ২৯ এপ্রিল সর্বমোট ৪জনের করোনা পজেটিভ আসে। এরা ৪জনই মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ। তাদের মধ্যে একজন নারী উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, অন্যজন নারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই),অপর একজন নারী অফিস সহকারী ও একজন পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
এই নিয়ে মণিরামপুরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫জন। বুধবার (২৯ এপ্রিল) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে ১১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে তার মধ্যে মণিরামপুরের এই চারজন রয়েছেন।
বুধবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ১২ এপ্রিল মণিরামপুর হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা ধরা পড়ে। যিনি ছিলেন যশোরের প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি। তিনি বর্তমানে মণিরামপুর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইতিমধ্যে তার তিন বার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে প্রথম দুটি রিপোর্ট করোনা পজেটিভ ছিল। তৃতীয় ফলাফল এখনো হাতে পাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, “গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। তার মধ্যে আজ (বুধবার) চারজনের করোনা পজেটিভ আসে। চারজনই হাসপাতালের স্টাফ। তার মধ্যে একজন সেকমো, একজন করোনা নমুনা সংগ্রহকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, একজন অফিস সহকারী ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।”
নতুন চারজনের মধ্যে ১ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং বাকি ৩ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেবে বলে জানা যায়।
এদিকে যে ৩জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিবেন তাদের বাড়িতে লকডাউন এবং হোম আইসোলেশন নিশ্চিত করতে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী। এসময় তিনি বলেন, “করোনা আক্রান্ত ৪জনের মধ্যে ১জনকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে পাঠানো হয়ছে এবং ৩জন হোম আইসোলেশনে থাকবে। এদের যেকোন প্রয়োজনে আমরা উপজেলা প্রশাসন পাশে আছি।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব রফিকুল ইসলাম, উপজেলা রিসোর্স কর্মকর্তা জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী টিমের উপজেলা মেন্টর আল হেলাল মামুন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃন্দ।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন হবে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. শুভ্রা রানী বলেন, “যেহেতু হাসপাতাল একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তাই এখনই হাসপাতাল লকডাউনের সিদ্ধান্তে যাওয়া যাচ্ছে না। আক্রান্ত চারজন কার কার সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকে দেওয়া হবে। তারপর তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”