দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের জানাজা ও দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।
ঢাকা থেকে বেলা ১২ টার কিছু পরে কামরানের মরদেহ সিলেটে পৌঁছলে নিজ বাসভবনে গোসল করানো হয়। ওখান থেকেই নিয়ে যাওয়া হয় ছড়ারপার মসজিদে। সে মসজিদের মুতাওয়াল্লি ছিলেন তিনি। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে করোনার কারণে নিহতদের জন্য নির্ধারিত স্থান সিলেটের মানিকপীর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সিলেট পৌরসভার তিনবারের কমিশনার, একবারের চেয়ারম্যান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের টানা দুইবারের সাবেক মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হন। পরদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শরীর আরও খারাপ হলে ৭ জুন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিমানবাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৮ জুন কামরানের শরীরে প্লাজমা থেরাপিও দেয়া হয়। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের উন্নতিও হচ্ছিল তার। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে রোববার রাত ১১টার দিকে কামরানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় এবং রাত পৌনে তিনটার দিকে ইন্তেকাল করেন সিলেটের জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ।
কামরানের আগে তার স্ত্রী সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান গত ২৭ মে করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ রয়েছেন এবং তার শরীরে এখন আর করোনার উপসর্গ নেই।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন