1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

মৃত মাদক ব্যবসায়ীর পেট থেকে বের করা হলো ৩১ প্যাকেট ইয়াবা

  • Update Time : সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৮৫ Time View
মৃত মাদক ব্যবসায়ীর পেট থেকে বের করা হলো ৩১ প্যাকেট ইয়াবা

রাজশাহী প্রতিনিধি: মৃত আব্দুস শুকুরের ময়নাতদন্তের সময় পেট কেটে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ছিল ৫০টি করে বড়ি। সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্তের সময় শুকুর আলীর পাকস্থলী থেকে ৩১টি ইয়াবার প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশের আলী।

আব্দুস শুকুর (৩৭) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমেদের পুত্র। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। কক্সবাজার থেকে পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে আনার সময় গত ২৩ সেপ্টেম্ব^র আব্দুস শুকুরসহ তিনজনকে পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য প্রথমে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গত রোববার রাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়ার পর সোমবার দুপুরে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে আব্দুস শুকুরের ময়নাতদন্ত করা হয়। কলেজ অধ্যক্ষ ডা. নওশের আলী জানান, ময়নাতদন্ত কালে আব্দুস শুকুরের পেট থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট অক্ষত ছিল। বাকি ১৫টি প্যাকেট ফেটে যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০টি করে বড়ি ছিল। প্যাকেট ফেটে বড়ি বের হয়ে গলে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে একজন চিকিৎসক মৃত আব্দুস শুকুরের ময়নাতদন্ত করেন। এ সময় তাঁর পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, বড়িগুলো আলামত হিসেবে পাবনা থানায় পাঠানো হবে। আব্দুস শুকুরের লাশ পাবনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারের পর আব্দুস শুকুরকে ভর্তি করা হয়েছিল পাবনা সদর হাসপাতালে। সেখানে তার পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন যে, শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাদের কাছে নেই। তাই তারা শুকুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেখানে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।

জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাঁদের কাছে ১৫০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, তাদের কাছে ইয়াবা আছে আরও অনেক বেশি। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন, শুকুরের পেটের ভেতর ইয়াবা আছে।

পুলিশ শুকুরকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন যে, শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাঁদের কাছে নেই। তাই তারা শুকুরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..