স্পোর্টস ডেস্ক:ক্যারিয়ারের শুরুটা ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ০৯ তারিখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এই বাম হাতি ওপেনার।ক্যারিয়ার জুড়ে খেলেছেন অনেক নামি বোলারের বিরুদ্ধেই। তবে কিছুটা নাকানিচুাবানী খেতে হয়েছে যাদের সামনে তারা হলেন,আফ্রিকান পেসার মরনে মরকেল,পাকিস্তানি স্পিনার সাঈদ আজমল,ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্র আশ্বিন।বাংলাদেশের জনপ্রিয় পত্রিকা “দ্যা ডেইলি স্টারে” লাইভে এ সকল কথা জানান তামিম।
এক যুগেরও বেশি লম্বা এই সময়ে খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ টেস্টে ৪ হাজার ৪০৫ রান, ২০৭ ওয়ানডেতে ৭ হাজার ২০২ রান আর ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৮ রান রয়েছে তামিমের নামের পাশে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে থমকে আছে গোটা বিশ্ব।তার ব্যাতিক্রম নয় ক্রীড়া জগৎ ও।মাঠের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় অনেকটাই বন্দী জীবন পার করছেন ক্রিকেটারেরা।আবদ্ধ এই সময়টা কেউ কেউ কাটাচ্ছেন বন্ধু আড্ডায় আবার কেউ কেউ কাটাচ্ছেন সতীর্থদের সাথে লাইভে এসে।একই অবস্থা সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত ওয়ানডে কাপ্তান তামিমেরও। গত কাল দেশের জনপ্রিয় শীর্ষ ইংরেজি সংবাদমাধ্যম “দ্যা ডেইলি স্টারের”আমন্ত্রণে লাইভে আসেন তামিম।
এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট ও করোনা পরিস্থিতি সহ নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তামিম।
খেলাধুলা নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে ডেইলি স্টারের ক্রীড়া প্রতিবেদক মাজহার উদ্দীন জানতে চান লম্বা এই ক্যারিয়ারে তার খেলা সবচেয়ে কঠিন তিনজন বোলার কে কে? কিছুটা ভেবে চিন্তে তামিম উত্তর দেন ‘আমার আসলে এরকম অনেকেই আছে যে আমাকে ভয় করিয়ে দিতে পারতো। তবে সবার প্রথমে নাম আসবে পাকিস্তানের সাঈদ আজমালের নাম। তার বল গুলো খেলা কঠিন। আমার মুখোমুখি হতে অনেক ভয় হত৷ তাকে অনেক সমীহ করতাম তার কোন বলে কি হয় বলা যেতোনা।’
এই তিন বোলার প্রসঙ্গে আলোচনার দ্বিতীয় অবস্থানে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মরনে মরকেলকে।মরকেল সম্পর্কে তামিম বলেন‘মরনে মরকেলকে খেলা বামহাতিদের জন্য একটি কষ্টকর। সে অনেক লম্বা আর জোরে বল করতে পারতো। তার বল সামলানো একটু কষ্টকর ছিলো আমার জন্য। “
তামিমের ভয়ংকর বোলারের এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ভারতী স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তামিমের মতে আশ্বিনের স্পিন খেলাটা কঠিন ছিলো ‘ভারতের অশ্বিনকে খেলা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তার বল গুলো স্পিন হয় বেশি। এই তালিকায় আমি তাকে ৩য় স্থানে রাখবো।
“দ্যা ডেইলি স্টারের” এই লাইভে সদ্য পাওয়া কাপ্তানি নিয়েও কথা বলেন তামিম।তখন তিনি জানান নেতৃত্ব পেয়ে বাংলাদেশ দলকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সে।