নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের নীলগঞ্জের বিজয়া পাল।
এর আগে সিঙ্গাপুরের একটি স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী পাশ করে ভারতের কোলকাতার অক্সিলিয়াম স্কুলে ভর্তি হয় বিজয়া। ঐ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত মাধ্যমিক ও ঋষি অরবিন্দ মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর চলে আসেন নিজ জন্মভূমিতে।
এবার, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ১৫২ হয়ে এপ্লায়েড ফিজিক্সে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন ঢাবি থেকে। তার পর, ২০১৫ সালে ইউরোপের বিখ্যাত বৃত্তি ইরেসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ (Erasmus Mundus scholarship)
নিয়ে ডেনমার্ক কুপেনহ্যাগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন এই কৃতি শিক্ষার্থী।
বিজয়া পাল এর বাবা বিজন বিহারী পাল বলেন,
আজ আমার স্বর্গবাসী বাবার স্বপ্ন পূরন হয়েছে। বাবা বিনয় ভূষণ পাল নীলগঞ্জ হাজী মোমতাজ উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল নাতি বিজয়া অনেক লেখাপড়া শিখবে , আমাদের সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে। বাবার সেই স্বপ্ন পূরনে আমি স্বপরিবারে ১৯৯৬ সালে চলে যাই সিঙ্গাপুর এবং সেখানেই আমার দুই সন্তান বিজয়া ও বিচিত্রাকে ভর্তি করি স্থানীয় একটি স্কুলে। বিজয়া অষ্টম শ্রেণী ও বিচিত্রা চতুর্থ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় তাদেরকে ভারতের কোলকাতার অক্সিলিয়াম স্কুলে ভর্তি করি।
বিজন বিহারী পাল আরো বলেন,
আমাদের পরিবারের এই মেধাবী সদস্যের জন্য আমরা গর্বিত। অত্র এলাকা অর্থাৎ আমাদের সুখী নীলগঞ্জ, গোজাদিয়া, তালজাঙ্গা, কাদিরজঙ্গল ও মাইজখাপনে আরেকজন (২য়) ডক্টরেট যুক্ত হলো যা কিশোরগঞ্জ তথা সারা বাংলাদেশের জন্য গর্ব।
উল্লেখ্য যে, বিজয়ার ছোট বোন বিচিত্রা পাল পূজাও ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি করছে, যা শেষ হবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে।