নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার (১২ মার্চ) সকালে ৮ টি দান সিন্দুক খোলা হয়। ১৫ বস্তা টাকা গুনতে সারাদিন শেষে সন্ধ্যা হয়। সন্ধ্যায় সিন্দুকগুলো থেকে পাওয়া ১৫ বস্তা টাকার পরিমান রেকর্ড ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা যা এ যাবৎ কালের রেকর্ড।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার, আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সর্বশেষ গত বছরের ৬ নভেম্বর পাগলা মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকগুলো খুলে দানের টাকাগুলো প্রথমে ১৫টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। রাত আনুমানিক ৮টায় টাকা গণনার কাজ শেষ হয়।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়াও করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছে এ দানের টাকা থেকে।