নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সোমবারও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে ও ঢাকা এসেছে জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে ১০ নম্বর পন্টুনে উপচে পড়া ভিড় হওয়ায় সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। এখান থেকে হাতিয়া ও বেতুয়ার উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়ে।
দুপুরে সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বিকালের লঞ্চ ধরতে মানুষ দলে দলে টার্মিনালের দিকে হেঁটে চলেছে। তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক করোনা আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে কোনো বিধিই মানা হচ্ছে না। বেশিরভাগেরই মাস্ক থাকলেও সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। প্রয়োজনের তুলনায় লঞ্চ কম হওয়ায় ভিড় বেশি বলেও বলছেন তারা।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় লঞ্চের সময় থাকলেও যাত্রী এসে হাজির হয়েছে দুপুর ১২টায়। আব্দুর রশিদ পরিবার নিয়ে যাত্রা করবেন। পরিবারের সবাই মাস্ক পরে রয়েছে, কিন্তু একটু পরপর সেটি খুলে হাতে রাখছে অনেকেই। আব্দুর রশিদ জানান, লঞ্চ সব ছাড়বে না শুনে আগেভাগে এসেছি। পরিবার নিয়ে যাত্রা করব বলে এসে এখন দেখি ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। করোনার মধ্যে নিয়ম না মেনে এই ভিড়ে থাকা কতটা নিরাপদ প্রশ্নে তিনি বলেন, উপায় নাই। এর মধ্যে কিসের নিয়ম মানতে বলেন?
ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাটের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন জানান, শুধু ১০ নং পন্টুনে যাত্রীদের ভিড় আছে। এখান থেকে হাতিয়া-বেতুয়ার লঞ্চ ছাড়ে। আজ এই দুটি লঞ্চ বিকাল ৫টা ও সাড়ে ৫টায় ছাড়ার কথা। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বাকিগুলোয় স্বাভাবিকের চেয়েও কম যাত্রী আছে। এই লাইনে যেক’টি লঞ্চ ছাড়ার কথা তার মধ্যে মাত্র একটি যাবে। ফলে উপচে পড়া ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বাকি ঘাটগুলোয় কোনো সমস্যা নেই।