শেখ সাখাওয়াত হোসেন,পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক হাটগ্রাম সোনালি সৈকতে শেখ রাসেলের স্মৃতিতে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে নৌকা বাইচের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত নৌকা প্রতিযোগিতায় মোট ১৩টি নৌকা অংশগ্রহণ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আয়োজক কমিটি জানায়, ১৩টি নৌকাকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। লিগ পদ্ধতিতে প্রতিটি নৌকা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গুড়া উপজেলার শেষ প্রান্তে হাটগ্রাম সোনালী সৈকতে অনুষ্ঠিত এই নৌকা বাইচ উপভোগ করতে হাজারো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা।
বিলের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে বাইচ শুরু হয়ে শেষ হবে উত্তর প্রান্তে। প্রায় তিন কিঃমিঃ দূরত্ব থেকে দুটি করে নৌকা বাইচে অংশ নেবেন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ সেনালী সৈকতকে পর্যটন এলাকা ঘোষনাসহ প্রতিবছর এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজনের দাবি স্থানীয়দের।
হাদল ফাজিল মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবিব দৈনিক প্রত্যয় এর পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি শেখ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, মানুষের প্রাণ ফিরে পাবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যাবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। বিলের জলে ছোট বড় নৌকায় পরিবার পরিজন আর বন্ধু বান্ধ নিয়ে দূর দূরান্ত থেকে এই নৌকা বাইচ দেখতে আসবে আনন্দ প্রিয় মানুষ। শুধু নৌকা নয় বিলের মাঝ দিয়ে সড়কের যেন পা ফেলার ঠাঁই থাকেনা এখানে। বর্ষার শুরু থেকে এই বিল অঞ্চল দীর্ঘ ৬ মাস পানিতে টইটম্বুর থাকে। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃষ্টিনন্দন এই হাটগ্রাম সোনালী সৈকত।
নৌকা বাইচ নিয়ে কথা হয় পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও
শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচের আহ্বায়ক আলহাজ্ব হেদায়েতুল হকের সাথে। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ আমাদের মনের ও আত্মার সাথে মিসে আছে। আমার পূর্ব পুরুষ করেছে আমরা করছি পরবর্তী প্রজন্মও করবে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে আমাদের কাজ করতে হবে। বাঙালীদের মধ্যে বিশেষ করে শেকড়ের মানুষের মধ্যে এই নৌকা বাইচ নিয়ে বেশ আগ্রহ আছে। ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই হাটগ্রাম সোনালী সৈকত যতদিন থাকবে ততদিন নৌকা বাইচ হবে বলেও জানান তিনি।