শেখ সাখাওয়াত হোসেন পাবনা (জেলা) প্রতিনিধি:
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল বলেছেন, পাবনার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা পাবনা জেলার মানুষের ভাবমুর্তিকে আরো উজ্জ্বল করবে।
পাবনা শহরের মানুষের বিনোদনের জায়গা কম। এই মেলার মাধ্যমে বিনোদনের সুযোগ পাবে জেলার মানুষ।
রেজাউল রহিম লাল আরো বলেন, পাবনা প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা ও সকল সাংবাদিকরা একটি সাহসি পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে পাবনার হারিয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ফিরিয়ে পাবে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা পাবনা জেলা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন রেজাউল রহিম লাল।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সহ সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস, কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুইট, বিশিষ্ট সাংবাদিক দি বাংলাদেশ টু-ডের স্টাফ রির্পোটার আব্দুল হামিদ খান, প্রেসক্লাব সদস্য ও দৈনিক পাবনার খবরের নির্বাহী সম্পাদক মনিরুজ্জামান শিপন, দৈনিক দেশ রূপান্তর ও এটিএন নিউজের প্রতিনিধি রিজভী জয়, বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, পাবনা চেম্বারের পরিচালক রানা গ্রপের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা প্রমুখ।
মেলা উদ্বোধন শেষে আতোষবাজী এবং এক মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা বিউটির পরিবেশনায় দেশাত্ববোধক ও লালন সংগীত দর্শকদের মন কাড়ে।
আয়োজকরা জানান, বাণিজ্য মেলায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী সার্কাস, মরণক‚ পে-মটোরসাইকেল ও কার চালানো, রেডিমেড পোশাক, ব্যাগ, কসমেটিক্স, ক্রোকারীজ, ব্লেজার, শাল, শাড়ী, থ্রি পিস, জুতা, খেলনা ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প পণ্যের দোকানসহ বাচ্চাদের বিভিন্ন রাইড, বিভিন্ন বিনোদন স্থান।
পাবনা প্রেসক্লাব সহ-সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস জানান, পাবনা প্রেসক্লাবের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ মেলায় কোন রকম অশ্লিল নৃত্য, জুয়া এবং অসামাজিক কর্মকর্ন্ড বরদাস্ত করা হবে না। পাবনাবাসীর জন্য সুষ্ঠ বিনোদনের জন্য এ মেলা দীর্ঘ এক মাস চলবে। গেটে প্রবেশ টিকেট এর মূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। টিকেটের এক অংশ দর্শনাথীকে দেয়া হবে। অন্য অংশ ঐ দিনই রাতে যারা থাকবেন তাদের উপস্থিতিতে লটারীর মাধ্যমে ড্র করা হবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে আকর্শনীয় পুরস্কার।