বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠী সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাসন্তী ও বর্ধমান। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। দুই জায়গাতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তবে সঙ্ঘর্ষ বন্ধ করতে দুই জায়গাতেই পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। অভিযোগ, তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কর্মীদের মারাত্মক সঙ্ঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। নিহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম আমির আলি সর্দার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় দফায় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি চলে। চলে গুলিও। সেই গুলিতে জখম হন আমির আলি। পরে মারা যান। তিনি বাজার করতে বেরিয়েছিলেন বলে খবর। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও সঙ্ঘর্ষের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আবদুল মান্নান গাজি জানিয়েছেন, এলাকা দখল ঘিরে এই সঙ্ঘর্ষ হয়। অবশ্য তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সিপিএম থেকে যুব তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মীদের দিকে। এলাকা এখনও থমথমে। পুলিশি টহলদারি চলছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দুই পক্ষের ১৫ জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া, বুধবার তৃণমূলের গোষ্ঠী সঙ্ঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমানও। জানা গিয়েছে, শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ অঞ্চলে এলাকার দখল ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বাধে। সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু হয় একজনের। মৃতের নাম গৌতম দাস। ওই মৃত্যুর ঘটনার পরই সঙ্ঘর্ষ আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। উত্তেজিত জনতা ছুটে গিয়ে তৃণমূল নেতা বিকাশ মণ্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। মৃত গৌতম দাসের বাড়ি ওই এলাকার বাদশাহী রোডের শর্মা পাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই গোলমাল, সঙ্ঘর্ষ হয়। তবে এবার পরিস্থিতি রীতিমতো খুনোখুনির পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সঙ্ঘর্ষ ও মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসে সশস্ত্র পুলিশ। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও সঙ্ঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় সঙ্ঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ গোটা অঞ্চলের দিকে কড়া নজর রেখেছে। নিয়মিত টহলদারিও চলছে।