দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ ৩ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বদ্ধ ঘরের ক্লান্তি, অবসাদ আর হতাশায় আটকে পড়েছে শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্য। ওয়ার্ল্ড ভিশনের জরিপ বলছে, ৯১ ভাগ শিশু ও তরুণদের দিন কাটছে ভয়াবহ মানসিক চাপ ও শঙ্কায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি উপেক্ষিত থাকলে পরিবারকে দিতে হবে চড়া মূল্য। দীর্ঘকালীন অবসাদের পরিণতি হতে পারে মানসিক ভারসাম্যহীনতা।
স্কুল করিডরের আড্ডা, প্রিয় বন্ধু, ভাগ করা টিফিন, এসবই এখন অতীত। করোনা সতর্কতায় ৩ মাসের বেশি সময় বন্ধ প্রাথমিক ও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ কোচিংসহ সহায়ক শিক্ষা কার্যক্রম। বদ্ধ ঘর, জানালার গ্রীল, এক খণ্ড আকাশ, প্রিয় খেলনা, যত্ন করে টবে সাজানো পাতাবাহার সবখানেই ভর করেছে বিষণ্ণতা, মন খারাপের সুর । অপেক্ষা. বাক্সবন্দী শৈশবে কবে যুক্ত হবে বিদ্যালয়ের হুল্লোড়, শেষ হবে ছুটি, মিলবে প্রিয় বন্ধুর সাহচর্য।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে একজন শিক্ষার্থী জানায়, স্কুল বন্ধ, বাইরে যেতে পারিনা। জানিনা আর কখনও স্কুলে যেতে পারবো কিনা। মনের ভিতর স্কুলে যাবার জন্য কেমন করে। খুবই মন খারাপ থাকে সারাক্ষণ। অনলাইনে ক্লাস চলছে সেটা আমাদের কোন কাজেই আসছে না কারণ মনের উপর চাপ যে কখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাব। তাহলে পড়ার প্রতি মনোযোগ আসবে কি করে। খুব মন খারাপ হলে রুমের মধ্যে চিল্লাচিল্লি করি যেটা পাগলের মত মনে হয়।
খুদে শিক্ষার্থীদের মতোই অবসাদ, ক্লান্তি আর হতাশায় কিশোর তরুণরাও। বাসার চার দেয়াল চাপা মনের খেয়াল। পড়ার টেবিল, মুঠোফোনে গেমস, প্রিয় টিভি শো সবটাতেই অবসাদ, ক্লান্তি। মাত্রাতিরিক্ত প্রযুক্তি আসক্তিতে কেউ বা ভুগছেন আচরণগত সমস্যায়।
ছন্দপতনের সময়টাতে শিশু কিশোর ও তরুণরা ভয়াবহ মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন বলে দাবি মনোবিদদের।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা হেলাল উদ্দিন আহমদ বলেন, তারা যেন কোনভাবেই রাতের ঘুম বাদ না দেয় এবং সারাদিন না ঘুমায়। এতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডা. মেখলা সরকার বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমরা সমালোচনা না করে সাপোর্টিভ হই।
করোনাকালীন শিশু কিশোরদের মানসিক সুরক্ষায় অভিভাবকদের আরো নিবিড় হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..