চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধের ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর জনতার বাজার এলাকায় আধা কিলোমিটার জুড়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। শতশত মানুষ বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর মতলব উত্তরের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর সংলগ্ন কাচারি এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০০ গজ পযন্ত ব্লক দেবে গেছে। এতে ২০ ফুট পানির নিচে ব্লক ধেবে গেছে।
মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার যুবক বৃদ্ধ দেখতে এসেছে। শত শত লোক স্বেচ্ছায় মাটি ভর্তি জিও টেক্স ফেলে বেরিবাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছে। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশিস দাস ও মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সহযোগিতা করছে।
গভীর গর্তের কারণে বেরিবাঁধের পাকা সড়কে হানা দিতে ৪/৫ ফুট বাকি। তবে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রক্ষা না করলে কোনো উপায় নেই বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন, পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি- গতবছর পানি সম্পদ উপমন্ত্রীকে গত বছর পরির্দশনে নিয়ে এসেছি। এখানে পাঁচশত কোটি টাকার একটা ডিপিবি হবার কথা। এই ডিপিবি আজ থেকে পাঁচবার ছয়বার বেটিং করে ঘষামাঝা করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। অতি দ্রুত এই বেড়িবাঁধ সুরক্ষার জন্য ডিপিবির অন্তর্ভুক্ত পাঁচশত কোটি টাকার বরাদ্দ, তা যেন অতি দ্রুত গতিতে বাস্তাবায়নের জন্য এর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করেন।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজটি দ্রুত গতিতে না করলে যেকোনও সময় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। এর আগে দুই বার ভাঙছে। এবার ভাঙলে তৃতীয় বার হবে। আর সব মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রীসহ তাঁর মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন।