নিজস্ব প্রতিবেদক: বনায়ন কর্মসূচীর আওতায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চলে হেলিকপ্টারে করে আকাশ থেকে সীডবল নিক্ষেপের মাধ্যমে দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন গাছের বীজ ছিটানো কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। রোববার দেশের উপকূলী ও দুর্গম এলাকায় এ কার্যক্রম চালানো হয়। সোমবারও একই কার্যক্রম চালাবে বিমান বাহিনী। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতের নির্দেশনায় ওই বনায়ন কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম জানান, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী স্বাধীনতার সূচনালগ্ন থেকেই সর্বদা দেশের আকাশসীমা রক্ষার পাশাপাশি যে কোন দেশ সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিমান বাহিনী বন অধিদফতরের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম হেলিকপ্টারযোগে আকাশ থেকে সীডবল নিক্ষেপের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে বীজ ছিটানো হয়। এ লক্ষ্যে গত ৩ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী থেকে প্রয়োজনীয় বীজ সংগ্রহ করে বিমান সদরে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সীডবল তৈরি করা হয়। প্রক্রিয়াজাতকৃত সীডবলগুলো বিমান বাহিনীর ২টি এমআই সিরিজ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশ থেকে নোয়াখালীর ডমার চর এলাকার উপকূলীয় অঞ্চলে বীজ ছিটানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, বনায়নের জন্য নির্বাচিত স্থানসমূহ দূর্গম ও সড়কপথে যাতায়াতের অনুপযোগী হওয়ায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এসকল এলাকায় বীজ ছিটানো কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিমান বাহিনী পরিচালিত এ বনায়ন কর্মসূচী গ্রীন হাউজের প্রভাবে সমূদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, বন উজাড় প্রভৃতি থেকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। ওই বনায়ন কর্মসূচীর ফলে সৃষ্ট বনাঞ্চল ভবিষ্যতে উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত জনগণের জীবন রক্ষাকারী ঢাল হিসেবে পরিনত হবে বলে আশা করা যায়।