প্রত্যয় ডেস্ক: বর্তমান বিশ্বে করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও কড়াকড়ি আরোপের কারণে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। কাজ-কর্ম হারিয়ে অথবা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক ধনী ব্যক্তিকেও পথে বসতে হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে ভয়াবহ ধস ডেকে এনেছে করোনাভাইরাস। অনেক দেশই এর মধ্যেই ঋণের দায়ে জর্জরিত। সে কারণে দরিদ্র দেশগুলোকে দেওয়া ঋণ মওকুফ বা এক্ষেত্রে কিছুটা শিথিল প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই দরিদ্র কিছু দেশের প্রতি নমনীয় হতে হবে। এসব দেশকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য ঋণ মওকুফসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিতে তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। রোববার হ্যান্ডেলসব্লাট নামের একটি ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ম্যালপাস বলেন, এটা প্রমাণিত যে, বেশ কিছু দেশ যেসব ঋণ গ্রহণ করেছে তা পরিশোধে তারা অক্ষম। তাদের পক্ষে এখন এসব ঋণ মেটানো বেশ কষ্টকর হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, পুনর্গঠনের মাধ্যমে এসব ঋণ কমিয়ে আনাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও আর্থিক সংকটে এ ধরনের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। গত আগস্টেই ম্যালপাস সতর্ক করেছিলেন যে, করোনা মহামারি ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে। তিনি বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক এবং বিনিয়োগকারী ফান্ডগুলোকে দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এসব বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দরিদ্র দেশগুলোর জন্য যা করছে তা যথেষ্ঠ নয়। আমি তাদের কাজে হতাশ। এছাড়াও চীনের বেশ কিছু বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও এসব কাজে খুব বেশি অংশগ্রহণ করছে না। বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে পরিমাণ অংশ নেওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। ম্যালপাস সতর্ক করে বলেছেন যে, এই করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশ আরও বেশি ঋণের দায়ে জর্জরিত হতে পারে।
কারণ ইতোমধ্যেই করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসছে। এছাড়া খারাপ ঋণের কারণে আরও বেশি সংকটে পড়ছে বিভিন্ন ব্যাংক।