প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ম্যারাথন দ্বীপের উপকূলে পৌঁছায় হ্যারিকেন (ঘূর্ণিঝড়) ‘ইটার’ কেন্দ্র। ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার গতিতে কিউবা হয়ে ফ্লোরিডায় আঘাত হানে এই ঝড়। ঝড়ের প্রভাবে শুরু হয় ব্যাপক বৃষ্টি ও তীব্র হাওয়া। তবে গতি কিছুটা কমে যাওয়ায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানার আগে তেজ কিছুটা কমে। ফলে, ক্ষয়ক্ষতি সেখানে তুলনামূলক কম। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে পানামা, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস, কিউবা ও গুয়াতেমালায়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ঝড়ের কারণে কেবল গুয়াতেমালাতেই অন্তত ১৫০ জন নিখোঁজ। ব্যাপক বৃষ্টির ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছবিতে ভেঙে পড়া সেতুর অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছে।
ইটার কবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গুয়াতেমালায়। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধসে সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তেজ হারানোর আগে নিকারাগুয়ায় ধ্বংসলীলা চালায় ঘূর্ণিঝড় ইটা। তীব্রবেগে চলা ঝড়ো হাওয়া ঘরবাড়ি নষ্ট করার পাশাপাশি ব্যাপক বৃষ্টির কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে।
হন্ডুরাসে পৌঁছাতে পৌঁছাতে তুলনায় কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, হন্ডুরাসের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
কিউবার পূর্বাঞ্চলে বিপজ্জনক এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝড়ের আগেই ৭৪ হাজার মানুষকে সরানো হয়, এর মধ্যে ৬০০ জন পর্যটকও ছিলেন বলে জানিয়েছে কিউবার সরকারি গণমাধ্যম।
বিধ্বস্ত ফ্লোরিডায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা, বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজের পাশাপাশি কোভিড-১৯ পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোও।
কোনো সামুদ্রিক ঝড়ের উৎস ও চরিত্র নির্ধারণ করে তার নামের আগে টাইফুন বসবে, না হ্যারিকেন নাকি সাইক্লোন। যেমন, প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ও অটলান্টির মহাসাগরের সামুদ্রিক ঝড়কে হারিকেন বলা হয়। এটা ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানগত উৎসের কারণে নামের আগে রয়েছে হ্যারেকন।
কিন্তু ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলোতে ‘ইটার’ বিস্তারের ফলে মধ্য আমেরিকার অঞ্চলগুলোতে বর্তমানে ক্রান্তীয় ঝড় বা ‘ট্রপিকাল স্টর্ম’ সতর্কতা জারি হয়েছে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে