1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বন্ধুর মৃত্যুর তারিখকেই বেছে নিলেন ম্যারাডোনা!

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৩১ Time View

বয়সের পার্থক্য যাই হোক, দু’জনের বন্ধুত্বের কথা জানা ছিল সবার। আর্জেন্টিনার দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা আর কিউবার এক নায়ক ফিদেল ক্যাস্ত্রো- দু’জন ছিলেন একে অপরের জানের দোস্ত। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর দিনটিকেই নিজের বিদায়ের জন্য বেছে নিলেন দিয়েগো ম্যারডোনা! ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর, ৯০ বছর বয়সে কিউবার রাজধানী হাভানায় মৃত্যুবরণ করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। ঠিক একই দিন, চার বছর পর নিজের বাড়ি, বুয়েন্স আয়ার্সের তিগ্রেতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করলেন ফুটবলের অবিসংবাধিত সম্রাট দিয়েগো ম্যারাডোনা।

দুই বিশ্ব সমাজতন্ত্র আর পুঁজিতন্ত্র। লড়াই চিরকালীন। এই লড়ইয়ের এক অধিনায়ক ফিদেল কাস্ত্রো, অপরজন ম্যারাডোনা ছিলেন তার সহযোদ্ধা। মনেপ্রাণে ফিদেল অনুরাগী- ফিদেলিস্তা। সময়ের কী আশ্চর্য সমাপতন, সেই ২৫ নভেম্বর প্রিয় ‘কমরেড’ ফিদেল মৃত্যু বরণ করেছিলেন। ম্যারাডোনাও বেছে নিলেন প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর দিনটিকে।

কিউবা পুরোপুরি কড়া কমিউনিস্ট শাসনের দেশ। যদিও সেখানে বারবার সিআইএ ষড়যন্ত্র পাকিয়েছিলো ফিদেলকে পরাজিত করতে। উল্টো সিআইএ পরাজিত হয়েছে। আর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় বারবার সিআইএ ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে, সমাজতন্ত্র হটিয়ে দিয়ে তারা কায়েক করেছে পুঁজিতন্ত্রের শাসন।

ম্যারডোনার ফিদেল কাস্ত্রোর অনুরাগী হওয়ার মূলত কারণ, তার স্বপ্ন পুরুষ যে তারই দেশের কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা বিশ্বজনীন বিপ্লবী বলে পরিচিত চে গুয়েভারা!

সেই চে গুয়েভারা কিন্তু ছিলেন কিউবায় বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক সরকার গড়ার অন্যতম রূপকার- ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোদ্ধা। কিশোর বয়স থেকেই ম্যারাডোনা ছিলেন গুয়েভারার খাঁটি সৈনিক। কোনো অন্ধ আবেগ নয় রীতিমতো সমাজতান্ত্রিক সমর্থন থেকেই চে’র উল্কি হাতে একে পুঁজিবাদি দুনিয়াকে কটাক্ষ করে গেছেন দশকের পর দশক। বারবার চলে যান কিউবায়। ছিলেন বন্ধুর সান্নিধ্যে।

কিংবদন্তি ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল নিবিড়। সেই নিবিড়তা ম্যারাডোনাকে ক্রমশ পুঁজিবাদি শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি করে তুলেছিল। একই সঙ্গে পায়ের জাদুতে বিশ্ব কাঁপিয়ে স্বপ্নের ফুটবল উপহার দিয়েছেন তিনি।

তবে বিতর্কও কম নেই। মাদকাসক্ত হয়েছেন। যদিও অভিযোগ রয়েছে, এই আসক্তির পেছনেও সিআইএ ষড়যন্ত্র কাজ করেছিল। কিন্তু বিতর্ক সরিয়ে ম্যারাডোনা বারবার মাঠে এসেছেন। বল নিয়ে শিশুর মতো হেসেছেন।

এখন সবই অতীত। কিউবা ছিল তার দ্বিতীয় দেশ। আবার দক্ষিণ আমেরিকারই সমাজতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার সরকারে থাকা হুগো শাভেজ বা পরবর্তীতে নিকোলাস মাদুরোর মতো নেতৃত্বের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তার।

মূলতঃ যেখানেই সমাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে, সেখানেই স্বচ্ছন্দ ম্যারাডোনা। যদিও খেলোয়াড়ি জীবন কেটেছে ইতালির মতো চরম পুঁজিতান্ত্রিক দেশের ক্লাব নেপোলি তে; কিন্তু ইতালিকে তেমন গ্রহণ করেননি তিনি। বরং ফুরসত পেলেই কমরেড ফিদেল কাস্ত্রো, কমরেড রাউল কাস্ত্রোর দেশ কিউবা ছিল তার গন্তব্য।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..