কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় চার মাদরাসাছাত্রকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আটকরা হলেন-কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়া ইবনে মাসুদ মাদরাসার ছাত্র আবু বকর (১৯) ও মো. সবুজ ইসলাম নাহিদ (২০) এবং ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. আলামিন (২৭) ও মো. ইউসুফ আলী।
খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় অংশ নেন মাদরাসাছাত্র আবু বকর ও মো. সবুজ ইসলাম নাহিদ। তাদের মদদ দেন ওই মাদরাসার দুই শিক্ষক মো. আলামিন ও মো. ইউসুফ আলী।
এর আগে গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়। ঢাকার দোলাইরপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামের বিরোধিতার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো।
এদিকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘কুষ্টিয়ায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা আপনারা জানেন, পৌরসভা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করেছিল। এটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষই করেছিল। হঠাৎ করে দেখা গেল গভীর রাতে এসে…দু’জনের ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছে। তারা দু’জন হাতুরি দিয়ে ভেঙেছে।’
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ইবনে মাসউদ মাদরাসা থেকে বেরিয়ে এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। একজনের নাম আবু বকর, আরেকজনের নাম নাহিদ। বয়স এদের বেশি না। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও দুই ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। তাদের নাম আলামিন ও ইউসুফ।’
‘তাদের যে বক্তব্য…ফেসবুকে আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। আমরাও বিভিন্ন সময় দেখেছি। একজনের নাম বারবার চলে আসছে। তারই বক্তৃতা কিংবা তারই নির্দেশে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। আমরা অনুসন্ধানের পর তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে, তাই আমি তার নামটি বলছি না’ বলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘এই যে উসকানি দিচ্ছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বের করে নিয়ে আসছে। এটা নিশ্চয়ই কারো কাম্য নয়। আমরা অবশ্যই এটা দেখব।’