নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। গতবছরের ৯ জুলাই ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ মাঠে নামেন এই ভারতীয়। বৃষ্টি বাধায় পরদিনও ওল্ড ট্রাফোর্ডে একই ম্যাচ খেলতে নামেন ধোনি।
সেই ম্যাচে হারের পর সবুজ গালিচায় আর ফেরা হয়নি তাঁর। শনিবার (১৫ আগস্ট) আচমকা ধোনি অবসরের ঘোষণা দেন। ভারতের গণমাধ্যম আজতাক এক ভিডিও বার্তায় ধোনির অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
পাশাপাশি ধোনি ইনস্টাগ্রামে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিও দিয়ে লিখেন, ‘১৯২৯ ঘণ্টা আমাকে বিবেচনা করার জন্য ধন্যবাদ। অবসরে যাওয়া একজনের পক্ষ থেকে আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ।’ ৪ মিনিটের ছোট্ট ভিডিওতে ধোনি নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে ধোনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন। পাশাপাশি ভারতকে টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে তুলেছেন । ৩৫০ ওয়ানডে খেলে অবসরে গেলেন ধোনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল ৫০ রানের ইনিংস। ৯০ টেস্ট ও ৯৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের সফলতম অধিনায়ক।
২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। চট্টগ্রামে প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রানে রান আউট হন। পরের দুই ওয়ানডেতে করেন মাত্র ১২ ও ৭*।
সবমিলিয়ে তিন ফরম্যাটে ১৭ হাজাে ২৬৬ রান করেছেন ধোনি। নামের পাশে আছে ১৬ সেঞ্চুরি, ১০৮ হাফ সেঞ্চুরি। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ডিসমিসাল করেছেন ৮২৯টি।
২০১১ সালে ধোনির হাত ধরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। ২৮ বছর পর ভারত পায় দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্বাদ। ৯১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ধোনি সেদিন জিতেছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুচকে দল নিয়ে ভারত জিতেছিল বিশ্বকাপ। সেই দলেরও নেতৃত্বে ছিলেন ধোনি। ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ধোনির হাতে ওঠে স্বপ্নের শিরোপা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন রান আউটে। শেষটাও হয়েছিল রান আউটে। ম্যানচেস্টারে মার্টিন গাপটিলের সেদিনের থ্রোতে ধোনি রান আউট হন, ভারতের বিশ্বকাপের স্বপ্নও ভেঙে যায়। শুরু থেকে শেষ রান আউটের মাঝে ১৬ বছর ২২ গজ ও সবুজ ঘাসে ধোনি যে কারিশমা, যে নিবেদন দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব।
তাইতো ক্রিকেট বিশ্ব তাঁকে দিচ্ছে টুপি খোলা সালাম। সঙ্গে বলছেন, ‘থ্যাংক ইউ মাহি।’