ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্প সরকারের একটি অন্যতম উদ্যোগ। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট নিজ নিজ সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে বহুকমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, উন্নয়ন, মেরামতও সংস্কারে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। যার সুফল সকল সম্প্রদায়ের জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।
ফরিদুল হক বলেন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প সমূহের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে প্রাক-প্রাথমিক ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান করে ধর্মীয় ও নৈতিকতাসম্পন্ন যোগ্য নাগিরিক হিসেবে গড়ে তুলতে, তথা উন্নত জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। এ কারণে তিনি সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য বাসযোগ্য ও নিরাপদ একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি দেশের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংযোজন করেছিলেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃধর্মীয় মত বিনিময় সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন), মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকারীদের মা ঝেসনদ বিতরণ করেন।