নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলার সাড়ে ৯ ঘন্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণনা শেষ হয়। গণনা শেষে দান সিন্দুকগুলোতে মোট তিন কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া গেছে।
যা দান সিন্দুক থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর আগে দান সিন্দুক থেকে পাওয়া সর্বোচ্চ দান ছিল দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি দান সিন্দুক খোলার পর ওই টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ মাদরাসার শতাধিক ছাত্রশিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১০ জন আনসার এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানমের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, মো. শিহাবুল আরিফ, অর্ণব দত্ত ও মাহামদুল হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।
টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার তিন কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে জমা পড়েছে।
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, পাগলা মসজিদকে একটি অন্যতম আধুনিক ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদটির অবস্থান।