মাসুদ বাবু, লালমনিরহাটঃলালমনিরহাটে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ ফেরত শ্রমিক কামরুল ইসলাম ও তার সংস্পর্শে আসা তার ৭ বছরের পুত্র সালমান হোসেন এখন সুস্থ। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর তাদের দু’জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তারা হাসপাতাল থেকে শনিবার বা রোববার বাড়ি যেতে পারবে।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন হেল্প ডেস্ক সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ ফেরত শ্রমিক কামরুল ইসলামের শরীরে গত ১০ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রামণ ধরা পড়ে। কামরুল ইসলাম জেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। এর দুইদিন পর তার সংস্পর্শে আসা বাড়িতে থাকা তার ৭ বছর বয়সী পুত্র সালমান হোসেনের শরীরেও করোনা ধরা পড়ে। সালমান হোসেন জেলার ২য় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী।
পিতা-পুত্র দুইজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে করোনা ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হয়। ১৪ দিন চিকিৎসা গ্রহণের পর তাদের দ্বিতীয়বার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুইজনের করোনা সংক্রামণের ২য় রিপোর্ট নেগেটিপ আসে। ফলে জেলার ১ম ও ২য় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এখন করোনামুক্ত ও সুস্থ। তারা কাল শনিবার বা রোববার হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পারে।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বলেন, জেলার প্রথম করোনায় আক্রান্ত কামরুল ইসলামের ১৪ দিন চিকিৎসার পর ২য় বার নমুনা পরীক্ষায় সব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনি সম্পূর্ণ করোনামুক্ত। তার পুত্র সালমান হোসেনেরও একটি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর একটি রিপোর্ট আজ পাওয়া যেতে পারে। ওই রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে শনিবার বা রোববার পিতা-পুত্র দুই জনেই বাড়ি যেতে পাবে।