দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত। এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক না থাকায় এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় আপাতত একটাই। তা হল নিজেকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখা।
তারপরও এ অবস্থায় কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মরিয়া মানব সমাজ। যদিও এখনো মেলেনি স্বস্তি। সেইভাবে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেননি গবেষক- বিজ্ঞানীরা।
এ অবস্থায় নতুন করে করোনা সংক্রান্ত আরও আশঙ্কার কথা শোনাল মরণব্যাধির জন্মস্থান চীন। সম্প্রতি চীনের জেঝিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক করোনা নিয়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তাতে তারা দাবি করেছেন, ক্রমশ রূপ পরিবর্তন করছে করোনাভাইরাস।
এ ছাড়াও পরিবর্তিত আবহাওয়া এবং জলবায়ুর সঙ্গে এই ভাইরাস নিজের অভিযোজন ঘটিয়ে হয়ে উঠছে আরও মারাত্মক। ফলে চীনের থেকেও বেশি সংক্রমিত হয়েছে ইউরোপ এবং আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন রাজ্য।
চীনা গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি সেদেশে নতুন করে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে। যাদের দেহে এর আগে করোনার জীবাণু মেলেনি। ফলে বলা যেতে পারে, মারণ করোনা এখন নিঃশব্দ ঘাতকের ভূমিকা পালন করছে। এ কারণে ইউরোপসহ আমেরিকা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভাইরাসে।
যদিও বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রতিনিয়ত অদৃশ্য ভাইরাস রূপ পরিবর্তন করে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ফলে দিন দিন যেভাবে করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে নতুন করে পৃথিবীর আকাশে আশঙ্কার কালো মেঘ জমাট বাঁধছে।
তার পরও আশার বাণী শোনাচ্ছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, তারা চেষ্টা করছেন মাস চারেক আগে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের গতি-প্রকৃতি জানতে। আর এটা জানা গেলে একে নিয়ন্ত্রণের পথও পাওয়া যাবে। তবে তার আগে দিতে হবে আমাদের সমবেত ধৈর্যের পরীক্ষা।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন