বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আগামী ২৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং করেছেন জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং অনুুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, আমিনুল ইসলাম, জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০৩ জুন ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন আয়োজিত সমবায় সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণে একটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, “আমার দেশের প্রতি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন”। এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ১৯৯৭ সালের ২০ মে কক্সবাজার জেলার ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের দুর্দশা দেখতে কক্সবাজার পরিদর্শন করেন এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প। মুজিব শতবর্ষে “বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে শুরু হয়েছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। সামগ্রিকভাবে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র ‘ক’ শ্রেণির পরিবার এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত হচ্ছেন। ‘ক’ শ্রেণির পরিবার বলতে যাদের জমি ও ঘর কিছুই নেই তাদেরকে বোঝায়। মুজিব শতবর্ষে সারা দেশে ঘরপ্রতি ২ শতাংশ করে খাস জমির উপর নির্মিত গৃহে পুনর্বাসিত হতে চলেছে ‘ক’ শ্রেণির ৯ লাখ পরিবার। ঘরপ্রতি ব্যয় বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রথম পর্যায়ে আগমী ২৩ জানুয়ারি ২০২১ সকাল সাড়ে ১০ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে মোট ৬৬ হাজার ১শ ৮৯ টি ঘর উদ্বোধন করার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতকৃত গৃহ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ৩৩৪টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৬৫ টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৭০ টি, হরিপুর উপজেলায় ২৩৭ টি, এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় ৮৬ টি। মোট ৭৯২টি ঘর ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ টি, হরিপুরে ১ টি ও পীরগঞ্জে ১ টি মোট ৩টি ঘর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তি কর্তৃক প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়াও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ২শ ১৭ টি গৃহের জমি নির্বাচন ও নির্মাণ কাজ চলমান আছে।