বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে দোকানে মজুদ রাখার অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে এনএম রেজা ফার্মেসী নামে একটি ওষুধের দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের বিদেশী ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি তাৎক্ষনিকভাবে সকল প্রকার ওষুধের দোকান বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট পালন করছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকল প্রকার ওষুধের দোকান বন্ধ রাখা হয়। এতে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা পড়েছে বিপাকে।
জানা যায়, সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে জেলা ড্রাগ সুপার জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল কাইয়ুম পুলিশ ফোর্স নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সামনে অবস্থিত এনএম রেজা ফার্মেসী নামে একটি ওষুধের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত ওই দোকানে বিক্রির জন্য রাখা মেয়াদ উত্তীর্ন বেশ কিছু ওষুধ উদ্ধার করায় দোকান মালিক মাসুদকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও ওষুধের গায়ে মার্কিং না থাকায় ওই দোকান হতে ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের বেশ কিছু বিদেশী ওষুধ জব্দ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষনিকভাবে ওষুধের দোকান বন্ধ করে। এতে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা পড়েছে বিপাকে।
রফিকুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা জানান, তার ছোট ভাই দুলালের স্ত্রী শিউলী বেগমকে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ওষুধ লিখে দেওয়ার পর ওষুধ কিনতে গিয়ে দেখি সকল প্রকার ওষুধের দোকান। ওষুধ কিনতে না পেরে খালি হাতে রোগীর কাছে ফিরে আসি।
এ ব্যাপারে দোকান মালিক মাসুদ জানান, বিদেশী ওষুধের গায়ে মূল্য সহ বিএসটিআই সিল না পাওয়ায় সেগুলো জব্দ করে। অথচ ওইসব ওষুধের ক্রয় রশিদ দেখতে বলা হলেও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ড্রাগ সুপার সেসব আমলে নেয়নি।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এবং রোগী ও তাদের স্বজনরা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে দোকান খোলা না পেয়ে প্রশাসনকে অবগত করলে রাত ৮ টায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বেঠকে বসে। এ রিপোর্ট লেখা অবধি বৈঠক চলছিল।
বাংলাদেশ ড্রাগিষ্ট ও ক্যামিষ্ট সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি আজিজুল ইসলাম জানান, ড্রাগ সুপার কয়েকদিন পূর্বে ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদান করেই অন্যায়ভাবে দোকানে অভিযান চালানোর নামে ব্যবসায়ীদর হয়রানি শুরু করায় সমিতির তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে দোকান ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।সমাধান না হলে ধর্মঘট চলবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকারকে ফোন করেও পাওয়া যায় নি।