আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ চীন সাগরের তলদেশে, গত ২ অক্টোবর দুর্ঘটনার কবলে পড়া মার্কিন সাবমেরিনটির কমান্ডারসহ তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার খবর পাওয়া গেছে। ওই তিন কর্মকর্তা হলেন, সাবমেরিনটির কমান্ডিং অফিসার, নির্বাহী কর্মকর্তা ও শীর্ষদের তালিকায় থাকা এক নাবিক। বরখাস্ত করার কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, দুর্ঘটনাটি চাইলে এড়ানো যেত। খবর আল-জাজিরার।
দক্ষিণ চীন সাগরে সাবমেরিন দুর্ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ৪ নভেম্বর) কমান্ডার ক্যামেরন আলজিলানি এবং অন্য দুই কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে ক্যামেরন আলজিলানির জায়গায় এক কর্মকর্তাকে অন্তর্বর্তীকালীন কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ইউএসএস কানেটিকেট সাবমেরিনটি প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপ নেওয়া হয়। এরপর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ শেষে এটি মেরামতের জন্য ওয়াশিংটনের ব্রেমারটন সাবমেরিন ঘাঁটিতে নেওয়া হবে বলে, জানা গেছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় সপ্তম বহরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সঠিক বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন, বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্তগ্রহণ, নেভিগেশনের পরিকল্পনাকে কাজে লাগানো ও ঝুঁকি এড়াতে দলগত প্রচেষ্টাকে কাজে লাগালে দুর্ঘটনা রোধ করা যেত।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাবমেরিনটি একটি সমুদ্রের তলদেশে অজানা পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১১ জন নাবিক আহত হন। সাবমেরিনটির ভারসাম্য রক্ষাকারী ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে পরমাণু প্ল্যান্টের কোনো ক্ষতি হয়নি।
দুর্ঘটনার চার সপ্তাহ পর বিস্তারিত তথ্য জানালো যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। যদিও শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক সাবমেরিনটি সাগরের তলদেশে ‘অজ্ঞাত’ একটি বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খায় বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে চীনের বিরোধ চলছে কয়েক দশক ধরে। এ অঞ্চলের বহু ছোট দ্বীপ চীন তাদের নিজস্ব বলে দাবি করে আসছে। চীনের আধিপত্য বিস্তার ঠেকাতে নিয়মিত অভিযানে অংশ নিচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনীও। ফলে কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা লেগেই আছে এ অঞ্চলে।