আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচনী আইন মেনে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে বিধানসভা ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায়। কিন্তু রাশ টানা যায়নি ইন্টারনেটে। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি ও কংগ্রেস। আর তাতে খরচও হচ্ছে বহু।
পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স, জনসভা, মিছিলের চৌহদ্দি পেরিয়ে দেড় দশক আগেই ডিজিটাল প্রচার জায়গা করে নিয়েছিল ভোটযুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদীর সময় সেটাই ‘প্রধান’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোয়াট্সঅ্যাপ, ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে সব দলেরই।
জানা গেছে, বিজেপিকে পিছনে ফেলে এবারের নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় ফেসবুক-প্রচারে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে কংগ্রেস।
তবে ফেসবুক বিজ্ঞাপনে ‘ব্যক্তিপ্রচারের’ হিসেব ধরলে এখনও সামগ্রিক ভাবে অন্য দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনী প্রচারে মধ্যপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার জন্য গত এক সপ্তাহে ২৬ লাখ রুপি খরচ করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস শাসিত দুই রাজ্য রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে ভোটের ফেসবুক-প্রচারে বিজেপির খরচও ২৬ লাখ। এর মধ্যে ছত্তীসগঢ়ে ১৮ লাখ ৮৯ হাজার এবং রাজস্থানে প্রায় ৭ লাখ রুপি খরচ করেছে পদ্মশিবির।
রাজস্থানে ভোট আগামী ২৫ নভেম্বর। ফলে সেখানে আরও প্রচারের সুযোগ রয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মধ্যপ্রদেশে ভোটপ্রার্থী কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ছেলে আকাশের তৈরি একটি সংগঠন বিজেপির প্রচারে খরচ করেছে আরও ৪ লাখ রুপি।
করোনাকালের পর ভোটপ্রচারে কড়াকড়ির জেরে সব দলই নেট-প্রচারের ওপর জোর বাড়িয়েছিল। চলতি পাঁচ রাজ্যের ভোটে সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে বলে সাম্প্রতিক কালে একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। চলতি বছর সাধারণ বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ২০২২-’২৩ সালের যে আর্থিক সমীক্ষা সংসদে পেশ করেছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, শেষ ছ’বছরে ভারতের গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বেড়েছে ২০০ শতাংশ।
২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সেখানে শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫৮ শতাংশ। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৯ কোটি ৫৮ লাখের মতো। শহরাঞ্চলে ৯ কোটি ২৮ লাখের সামান্য বেশি। নির্মলা দাবি করেছিলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও শহরাঞ্চলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে দেশের গ্রামাঞ্চল।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে