মাশরাফি বিন মর্তুজার ইনজুরিতে প্রথমবার ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব ‘অধিনায়কত্ব’ পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেই সিরিজে কথা বলেনি তার ব্যাট। তিন ম্যাচে করেছিলেন ০, ১৯ ও ২ রান। এবার বছর দেড়েক পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে স্থায়ীভাবে অধিনায়ক হয়ে হাসছে তামিমের ব্যাট। তিন ম্যাচেই দেখা পেলেন রানের, হাঁকালেন জোড়া ফিফটি।
ক্যারিবীয়দের প্রথম ম্যাচে ৪৪ রানে থেমেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ফিফটি, আউট হন ঠিক ৫০ রানে। আজ (সোমবার) সিরিজের শেষ ম্যাচে আবারও অর্ধশতকের দেখা পেলেন টাইগার অধিনায়ক। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম পঞ্চাশ। বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি নেই আর কোনো ব্যাটসম্যানের। এছাড়া সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরিও দেশসেরা এ ওপেনারের।
করোনাভাইরাসের কারণে সবধরনের খেলাধুলা বন্ধ হওয়ার আগের সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ইনিংসে তার রান ছিল ২৪, ১৫৮ ও ১২৮*। এরপর প্রায় দশ মাসের বিরতি পড়লেও একই ছন্দে তামিমের ব্যাট। এবার প্রথম দুই ম্যাচে ৪৪ ও ৫০ রানের ইনিংস খেলার পর তৃতীয়টিতেও হাঁকালেন সাবলীল ফিফটি।
সিরিজের আগের দুই ম্যাচে পরে ব্যাট করেছিল বাংলাদেশ। আজ টস হেরে পেয়েছে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ। দুই তরুণ লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত সেটি কাজে লাগাতে না পারলেও, দলের অভিজ্ঞ দুই তারকা তামিম ইকববাল ও সাকিব আল হাসান ঠিকই ব্যাট করছেন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী। তামিম তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি, সাকিবও হাঁটছেন একই পথে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩২ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন তামিম সাকিব। ৬৪ রান করে আউট হয়ে যান তামিম। সাকিব উইকেটে রয়েছেন ৩৮ রানে। এর আগে রানের খাতা খোলার আগে ফিরে যান লিটন এবং শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ২০ রান।
ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি হাঁকানোর পথে মাত্র ২টি চার মারেন তামিম। দেখেশুনে খেলে ৭০ বলে পূরণ করেন পঞ্চাশ। ইনিংসের ২৬তম ওভারে ব্যক্তিগত পঞ্চাশে পৌঁছার পরের বলেই নিজের ট্রেডমার্ক ইনসাইড আউট শটে প্রথম ছক্কা হাঁকান তামিম। এই শটেই বোঝা যাচ্ছিল, আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান তিনি। ৮০ বলে ৬৪ রান করে আউট হয়ে যান তামিম।