স্পোর্টস ডেস্ক: ১২ বলে প্রাইম ব্যাংকের চাই ২০ রান। ১৯ নম্বর ওভারে আবু হায়দার রনি দিয়ে ফেললেন ১৯ রান। অবশ্য ওই ওভারে প্রাইম ব্যাংক মিডল অর্ডার রাকিবুল হাসানের ভাগ্য ছিল অনুকূলে।
আবু হায়দার রনির বলে রাকিবুল দুটি বাউন্ডারি পেয়েছেন ভাগ্যগুনে। প্রথমটি ‘ইনসাইড এজ ’ হয়ে কিপার ইরফান শুক্কুরের বাঁ পাশ দিয়ে, পরের বাউন্ডারি আসলো ব্যাটের ওপরে লেগে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে। অবশ্য আরও একটি বাউন্ডারি খেলেন আবু হায়দার রনি। আর তাতেই জয়ের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গেল প্রাইম ব্যাংক।
আবু জায়েদ রাহির করা শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১ রান। প্রথম বলেই সেটি নিয়ে নিলেন রাকিবুল। আর তাতেই মিরপুরে ৫ উইকেটের জয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়লো এনামুল হক বিজয়ের দল।
আর এ জয়ে প্রথম লেগ আর সুপার লিগ মিলে ১৩ ম্যাচে ১০ জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে আবার শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক। পয়েন্ট সংগ্রহে আবাহনীর সমান সমানে থাকলেও বিজয়ের দল নেট রানরেটে ওপরে।
আগের দিন আলগা বোলিংয়ের পর যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর আজ ১৫৪ রান করেও পরাজয়ই সঙ্গী মোহামেডানের।
ম্যাচের ব্যবচ্ছেদ করতে গেলে যে কেউ কৃতিত্ব দেবেন প্রাইম ব্যাংক ওপেনার রুবেল মিয়াকে। ৪০ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে অনেকদূর এগিয়ে দিয়েছেন।
এর বাইরে রনি তালুকদার (১০ বলে ৯), অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় (১৩ বলে ১৪), মোহাম্মদ মিঠুন (১৪ বলে ১৭) এবং নাহিদুল ইসলাম (৫) কিছু করতে না পারলেও শেষদিকে অভিজ্ঞ রাকিবুল একদিক আগলে রেখে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
রাকিবুলের ২৫ বলে ৩১ আর অফস্পিনার নাঈম হাসানের ৬ বলে ১১ রানের হার না মানা ইনিংস প্রাইম ব্যাংককে ৫ বল আগে পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে।
তবে রাকিবুল আর নাইমের ফিনিশিং টাচ এর পাশাপাশি মোহামেডানের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের আলগা বোলিংও প্রাইম ব্যাংকের জয়ে পরোক্ষ ভূমিকা রাখে। এই বাঁহাতি পেসার ওভারপিছু ১৩ রানের বেশি দেয়ায় তার ৪ ওভারে উঠেছে ৫৪ ।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তার মানে পারফরম করতে পারেননি এবার। তারপরও দেশ ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ৪ ওভার ছিল একটা বড় নির্ভরতা। সঙ্গে তাসকিন আহমেদও মোটামুটি পারফরম করেছেন। কিন্তু সাকিব আমেরিকায় আর তাসকিন হাত ফাটিয়ে বাইরে চলে যাওয়ায় মোহামেডান শিবির পড়েছে বোলিং সংকটে। আবু হায়দার রনি আগের দিনও আবাহনীর বিপক্ষে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫০ রান।
শেষ দিকে তার আলগা বোলিংই ভুগিয়েছে মোহামেডানকে। অধিনায়ক শুভগতহোমও বুদ্ধি খাটিয়ে রনির বদলে অন্য কোনো বোলার ব্যবহার করেননি। বারবার মার খাওয়ার পরও রনির হাতেই বল তুলে দিয়েছেন তিনি।
প্রাইম ব্যাংকের যখন ১২ বলে দরকার ২০ রান। তখন আবু হায়দার রনি এক ওভারেই ১৯ দিয়ে ফেললে মোহামেডানের পরাজয় নিশ্চিত হয়।