স্পোর্টস ডেস্ক: আজ রোববার শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন হয়েছে। বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই গেমসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এদিন প্রধান অতিথি হয়ে শেখ হাসিনা আসন অলংকার করার পরই বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। এরপর শুরু হয় মার্ট পাস্ট।
দ্বিতীয় যুব গেমসের ২৪টি ডিসিপ্লিনির ক্রীড়াবিদরা একে একে পুরো মাঠ প্রদর্শিত করেন। বিভাগের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় মাঠে অবস্থিত বড় স্ক্রিনে। এরপর সকল বিভাগের খেলোয়াড়রা সারিবদ্ধভাবে মাঠে দাঁড়িয়ে যান। স্টেডিয়ামের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবেশ করে শেখ কামাল দ্বিতীয় যুব গেমেসর মাসকট বাবুই। মাথা ও পাখা নাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানায় মাসকট বাবু।
এরপরই শপথ বাক্য পাঠ করান ১৪বারের দ্রততম মানবী নারী স্প্রিন্টার শিরিন আক্তার। এছাড়া বিচারকবৃন্দের শপথ বাক্য পাঠ করান সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান। শপথ বাক্য পড়া শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অলিম্পিক অ্যাসোসিয়শনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তার বক্তব্যের পর ২৪ টি ডিসিপ্লিনের অডিও ভিজ্যুয়ালি তুলে ধরা হয়। তুলে ধরা হয় ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের নানান অবদান।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এরপর রাত ৭টা ৫২ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কামালের নামে যুব গেমস আয়োজন করার জন্য অলিম্পিক অ্যাসোসিয়শনেক ধন্যবাদ জানান তিনি। রাত ৮টা ২ মিনিটে শেখ কামাল দ্বিতীয় যুব গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তার শুভ উদ্বোধন ঘোষনার পরই মাঠে বেলুন উড়তে থাকে। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে বিওএর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করেন বিওএ সভাপতি। ২৩ তারিখে টুঙ্গিপাড়া থেকে কীভাবে মশাল যাত্রা শুরু হয়, তার ভিডিও প্রচার করার পর উত্তর এবং দক্ষিন প্রান্ত থেকে মশাল হাতে নিয়ে দৌড়ে মাঠে নামেন এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেট স্বর্ন জয়ী স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান এবং সর্বশেষ সাফ গেমসে স্বর্ন জয়ী কারাতের মারজান আক্তার প্রিয়া।
মশাল হাতে পুরো মাঠ প্রদক্ষিন করেন এ দুই ক্রীড়াবিদ। দু’জনই আনুষ্ঠানিকভাবে মশালটি প্রজ্বালন করেন। হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। মশাল প্রজ্বালনের পর দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে মাঠে উপস্থিত থাকা সকল খেলোয়াড় চলে যান গ্যালারিতে। সঙ্গে বেজে ওঠে যুব গেমসের থিম সং।
মশাল প্রজ্বালনের পর শহীদ বীরউত্তম লেফটেন্যান্ট আনোয়ার গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নান্দনিক প্রদর্শনী প্রদশরন করেন।
গানের সুরের সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন নানান চিত্রকর্ম প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। শেখ কামালের আকৃতি ধারণ করে এক যুবক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকৃতি ধারণ করে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন এক তরুণী। এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন স্বযং প্রধানমন্ত্রীও। ২০ মিনিট ধরে ঐতিহ্যবাহী ভারত্বেশ্বরীর মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী তুলে ধরেন তারা। তাদের নান্দনিক ডিসপ্লেনের পর নিভে যায় স্টেডিয়ামের কিছু লাইট। এরপরই আতশবাজির রোশনায় আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো স্টেডিযাম।