একই পরিবারের তিনজন। চাচা আকরাম খান, ভাইপো নাফিস ইকবাল আর তামিম ইকবাল। এর বাইরে আফতাব আহমেদও টেস্ট খেলেছেন। সে অর্থে চট্টগ্রাম শহরের শেষ টেস্ট পারফরমার হলেন তামিম ইকবাল। তবে চট্টগ্রাম থেকে তরুণ আরেক ক্রিকেটার টেস্ট খেলছেন। তিনি অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সুতিকাগার বন্দর নগরী থেকে সহসাই কী আর টেস্ট ক্রিকেটার বেরিয়ে আসবে? পারবেন কী পারবেন না? তার উত্তর দেবে সময়। তবে দেশের ক্রিকেটের দুই প্রবাদপ্রতীম তারকা মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর আকরাম খানের শহর থেকে আরও একজনের সামনে আছে টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার হাতছানি। তিনি ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ জনের প্রাথমিক দলে আছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। নিজের কথা বলেননি। তবে ইয়াসির আলী চৌধুরীর আশা চট্টগ্রাম থেকে তামিম ইকবালের (নাঈম হাসানও আছেন) পর আবার টেস্ট ক্রিকেটার জন্ম নেবে।
তিনি বলেন, ‘আগেও যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট শুরু করে তখন চট্টগ্রাম থেকেও খেলতো, একাদশেই খেলতেন অনেকে খেলোয়াড়। আসলে মাঝখানে অনেকদিন চট্টগ্রাম থেকে খেলোয়াড় উঠে আসেনি। তামিম ভাই ছাড়া কেউ ছিল না। এখন আল্লাহর রহমতে পাইপলাইনে অনেকগুলো ক্রিকেটার আমরা, ৫/৬ জন আছি আমরা যারা জাতীয় দলের অধীনে বা এইচপিতে রয়েছে।’
এটাকে ভবিষ্যতে চট্টগ্রামের জন্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যও অনেক ভালো দিক বলে মন্তব্য ইয়াসির আলী চৌধুরীর। টেস্টের ২০ জনের প্রাথমিক দলে আছেন ইয়াসির আলী। থেকে যেতে পারেন ১৭-১৮ জনের মূল দলেও। কে জানে নির্বাচকদের মনে ধরলে তার টেস্ট অভিষেকও হতে পারে নিজ শহরে। বলা হয় ঘরের মাঠে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখছেন ইয়াসির আলী।
টেস্ট খেলার সুযোগ না পেলেও এক বছর পর নিজ শহরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে এবং তিনি আছেন প্রাথমিক দলে। তাতেই পুলকিত , আনন্দিত তিনি। ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটি ফিলিংস কারণ আমরা প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছি সেটা যদি হয় চট্টগ্রাম থেকে আমার হোম টাউন তো অন্য রকম এক রোমাঞ্চ কাজ করছে। জানি না হয়তো একাদশে থাকার সুযোগ হবে কি হবে না; কিন্তু এটা একটা ভালো লাগার বিষয় যে আমি দলের সঙ্গে আছি।’
এবারের জাতীয় দলের ক্যাম্পটা ইয়াসির আলী চৌধুরীর জন্য অন্যরকম ভাললাগার। মনে এক অন্যরকম পুলক অনুভব করছেন। কারণ, তার যারা প্রিয় ক্রিকেটার ও আদর্শ, সেই সাকিব, তামিম আর মুশফিকের সাথে একই হোটেলে আছেন। প্র্যাকটিস করছেন। তাদের সাথে সময় কাটছে।
ইয়াসির আলীর কথা, ‘আমাদের ক্যাম্প যখন শুরু হলো, তখন আসলেই অনেক রোমাঞ্চিত ছিলাম। কারণ আমি আগে কখনও সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাই সবাইকে এক সঙ্গে পাইনি। প্রথম থেকেই ওয়ানডে সিরিজের ক্যাম্প থেকেই খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম যে আমি তাদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করে নিতে পারছি। এখন টেস্টে এসে দেখা যাচ্ছে উনাদের তিনজনকে আবার পাচ্ছি। হ্যাঁ, সত্যিই আমি রোমাঞ্চিত।’
এদিকে সিনিয়রদের দেখে মুগ্ধ রাব্বি। তিনি বলেন, ‘আমি যতই দেখি সিনিয়র ভাইদেরকে ততই অবাক হই। এই স্টেজে এসেও উনারা যে হার্ডওয়ার্কটা করেন, তা সত্যিই অবাক করার মত। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই। মুশফিক ভাইয়ের কথা তো আমরা সবাই জানি কিন্তু বিশেষ করে তামিম ভাই, সাকিব ভাই যেভাবে নিজেদেরকে মেইন্টেন করে এখন তাঁদের সঙ্গে আমি সবসময় কথা বলি ওইসব বিষয় নিয়ে যে কিভাবে আপনারা নিজেদেরকে মেইন্টেন করেন। ’