আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের ভোরোনেজ অঞ্চলের সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়েছে ইউক্রেনে মস্কোর পক্ষে লড়াই করে আসা ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার। এর পরপরই ভোরোনেজের একটি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা কিছু ভিডিওতে ওই তেল শোধনাগারে বিমান হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
শনিবার ভোরোনেজ অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার গুসেভ বলেছেন, রুশ শহর ভোরোনেজের তেল শোধনাগারের একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভোরোনেজের দিমিত্রভের সড়কের একটি তেল শোধনাগারের জ্বালানি ট্যাঙ্কের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। শতাধিক দমকলকর্মী ও ৩০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
কী কারণে তেল শোধনাগারে অগিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেননি তিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডের আগে ওই তেল শোধনাগারের আশপাশের আকাশে একটি সামরিক হেলিকপ্টার উড়ছে।
হেলিকপ্টারটি শোধনাগারের দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই শোধনাগারের আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে।
ভূ-অবস্থান শনাক্তকারী অন্যান্য ভিডিওতে দেখা যায়, ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির যোদ্ধারা ওই এলাকায় অবস্থান করছেন। শহরের উপকণ্ঠে অন্তত দুটি সামরিক হেলিকপ্টারও দেখা যায়।
রাশিয়ার সরকারি একাধিক গণমাধ্যম ভোরোনজ শহরের চারপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর রাস্তা অবরোধের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই অবরোধ রোস্তভ-অন-দন থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হওয়া ওয়াগনারের সৈন্যদের বহরকে ঠেকানোর লক্ষ্যে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন, বিবিসি।