গাজী তাহের লিটন, ভোলা: ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত হতে রক্ষা পেলেন নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার ( ৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের খলিল মুন্সি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষ পালিয়ে যায়।
বাল্য বিয়ের পিড়িতে বসতে যাওয়া ওই কিশোরী চাঁদপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা উপস্থিত সকলকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন এবং সামনের দিকে এধরনের বাল্য বিবাহ সংঘটিত হলে তাকে অবহিত করার পরামর্শ দেন। পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শওকত আলী, এএসআই মোঃ ইউসুফ প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম বলেন, বাল্য বিবাহের বিষয়ে কোন ছাড় হবে না। বাল্য বিাবহের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমি সেখানে যাবো এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ উপজেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত করতে প্রশাসন সার্বক্ষণিক কাজ করে যাবে।