আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে পূজা দিয়েছেন কলকাতায় নিযুক্ত নতুন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার অ্যান্ড্রু আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। কয়েক দিন আগে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের দায়িত্ব নিয়ে কলকাতায় এসেছেন ফ্লেমিং।
এরই মধ্যে মন্দির সফর করলেন। সঙ্গে ছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কূটনীতি কিংবা নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ফ্লেমিং। এসময় বেশ কিছুটা খোশ মেজাজে দেখা গেলো তাকে। কলকাতা বলে কথা! তাই রসগোল্লা খাবেন না তাকি কখনো হয়? পুজা শেষে তাকে কলকাতার রসগোল্লা খাইয়ে দেন মদন মিত্র। মিষ্টি খেয়ে তার প্রশংসা করেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফ্লেমিং জানান, এমন সময় কলকাতায় এসে আমি আনন্দিত। এই শহরে এসেছি যখন উৎসবের মৌসুম চলছে, আলোতে এই শহর খুব সুন্দর লাগছে। এই মন্দির এসে বুঝতে পেরেছি যে এটা একটি অতি পবিত্র স্থান। গঙ্গা নদীর পাশে এই মন্দির, রামকৃষ্ণর স্থান- যা আমার কাছে একটি বিশেষ মুহূর্ত। ব্রিটিশ স্থাপত্যবিদদের হাতে তৈরি এই মন্দিরের ইতিহাস জানার চেষ্টা করছি।
ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে সেতু বন্ধনের উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমি যখন বেঙ্গালুরুতে ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম সে সময় দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের সঙ্গে বৃটেনের সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলাম। এখানে মাত্র নয় দিন হয় এসেছি। এখানেও ঠিক সেভাবেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। আসন্ন বেঙ্গল বিজনেস গ্লোবাল সামিটে ৫৫ টি ব্রিটিশ কোম্পানিকে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কামারহাটি বিধানসভার অন্তর্গত ব্রিটিশ শাসনকালে তৈরি সালিমিয়া উচ্চ মাধ্যমিক (উর্দু) স্কুল পরিদর্শন করেন অ্যান্ড্রু আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ভবন পরিদর্শনের আগে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এই সম্মান পেয়ে তিনিও অভিভূত। মুঠো ফোনে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ফ্রেম বন্দীও হন ফ্লেমিং। পরে সাবেক মন্ত্রী তথা বর্তমানে কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রিটিশ নামাঙ্কিত বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করেন ফ্লেমিং।