আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার বিরুদ্ধে রেফারিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দেশটির গণমাধ্যম ‘কাদেনা সার’র প্রতিবেদনে করা ওই অভিযোগের পর ফুটবল বিশ্বে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এ ঘটনায় স্প্যানিশ ফুটবল নীতিমালার কারণে বার্সা সভাপতির বিরুদ্ধে লা লিগা কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান চালাতে পারছে না। সোমবার এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে হুয়ান লাপোর্তার কঠোর সমালোচনা করেছেন লিগ সভাপতি হাবিয়ের তেবাস।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’কে দেওয়া এক মন্তব্যে কাতালান ক্লাবটির কঠোর সমালোচক তেবাস বলছেন, ‘যদি সে (লাপোর্তা) উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে না পারে, তবে তার উচিত (বার্সা সভাপতির পদ থেকে) পদত্যাগ করা।’
বার্সা সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ জুভেন্তাসের অর্থ কেলেঙ্কারির চেয়েও গুরুতর বলে উল্লেখ করেন তেবাস। তিনি বলেন, ‘জুভেন্তাসের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় শাস্তি হলেও, তাদের চেয়েও বার্সার বিষয়টি বেশি গুরুতর। কারণ, এখানে লাপোর্তার সঙ্গে রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির একজন সহ-সভাপতির (হোসে মারিয়া এনরিকুয়েজ নেগ্রেইরা) নামও উঠে এসেছে।’
এর আগে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো রেফারিকে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি তুলে আনে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমটি। সেখানে বলা হয়, লাপোর্তা যখন ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত প্রথম দফায় বার্সেলোনার সভাপতি ছিলেন, রেফারিদের টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ছিলেন হোসে মারিয়া এনরিকুয়েজ নেগ্রেইরা। নেগ্রেইরাকে প্রায় ১৬ কোটি টাকা (১৪ মিলিয়ন ইউরো) ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লাপোর্তার বিরুদ্ধে। নেগ্রেইরা ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরে বার্সেলোনা প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, তার (নেগ্রেইরা) মালিকানাধীন কোম্পানি ডিএএসএনআইএল ৯৫-কে ১৬ কোটি টাকা দিয়েছে। লা লিগার রেফারি থাকার সময় নেগ্রেইরাকে ডিএএসএনআইএল-৯৫-এর মাধ্যমে ২০১৬ সালে প্রায় ৬ কোটি টাকা, ২০১৭ সালে প্রায় ৬ কোটি ২ লাখ টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। যদিও নেগ্রেইরা এবং তার সন্তান প্রসিকিউটরদের সামনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নেগ্রেইরা জানিয়েছেন, রেফারি থাকার সময় টাকার বিনিময়ে তিনি বার্সাকে মাঠে কখনো আনুকূল্য দেখাননি। যদি এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে লা লিগা থেকে কাতালান জায়ান্টদের অবনমন এবং পয়েন্টও কাটা হতে পারে।