আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একদিনের ব্যবধানে কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ কম। সংক্রমণ কমলেও দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে ভারতে এই ভাইরাসে ৩৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
দেশটিতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখে। এর মধ্যে করোনার অতি-সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৮ হাজার ২০৯ জন রোগীও আছেন। দেশটির ২৯টি রাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে করোনাভাইরাসে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
করোনা মহামারিতে ভারতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র প্রদেশ। এই প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪১ হাজার ৩২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের এই সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় এক হাজার ১৩৫ জনের কম। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসে প্রাণ গেছে অন্তত ২৪ জনের।
মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ লাখ ১১ হাজার ৮১০ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০৮ জন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যে নতুন করে আরও ৮ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৭৩৮ জনে পৌঁছেছে।
দেশটির শিশু অধিকারবিষয়ক সংস্থা ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর) বলছে, ভারতে করোনাভাইরাসে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯২ জন শিশু বাবা অথবা মা অথবা উভয়কেই হারিয়েছে।
দেশটির এই সংস্থা বলছে, অভিভাবক হারানো এই শিশুদের বেশিরভাগেরই বয়স ৮ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। ভারতে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে রোববার।
এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে ১৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির প্রশংসা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাদান কর্মসূচি বড় শক্তি জুগিয়েছে। এর ফলে মানুষের জীবন এবং জীবিকার সুরক্ষা সম্ভব হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি।