বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ভাটায় কাঠ পোড়ানোর কারণে পরিবেশ দূষন এবং স্থানীয়দের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ভাটায় কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ দূষন ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে ভাটা স্থাপনের অভিযোগে সদর উপজেলায় একটি এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় অপর একটি ইটভাটাকে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করে। পীরগঞ্জ এমবি ভাটাকে এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারী দৈনিক প্রত্যয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের বড়দেশ্বরী এলাকায় সবজীর গ্রামে কেএমবি নামে একটি ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠের খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানোর সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই ভাটায় কাঠ পোড়ানোর কারণে পরিবেশ দূষণের পাশাপশি কৃষির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের উদ্বেগ উৎকন্ঠা সংবাদে প্রকাশ পেলে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ দুষনের অভিযোগে ভাটার মালিক মোশারুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের বন ও পরিবেশ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ফারুক হোসেন, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন মাষ্টার মফিদার রহমান প্রমুখ।
অপরদিকে রোববার বিকেলে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার গুয়াগাও এলাকায় অবস্থিত এমবি ব্রিক ভাটায় অনুমতি ছাড়াই ভাটা স্থাপনের অভিযোগে এস্কেবেটর মেশিন দিয়ে ভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যেট গোলাম রব্বানী সরদার ভাটা মালিক শাহাজাহান আলীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়। সেই সাথে ৩০ দিনের মধ্যে ইটভাটা অপসারনের নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ উপজেলায় ১৩০টি ইট ভাটা রয়েছে। তন্মধ্যে জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে মাত্র ৫/৭টির। এরপূর্বে প্রশাসন দুটি ভাটায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন।