আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সীমান্ত থেকে সোনার চারটি বার নিয়ে ফেরার সময় ফাতেমা খাতুন (৩৩) এক নারীকে আটক করেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার তারালি গ্ৰামের সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক ফাতেমা তারালি গ্ৰামের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা আমজাদ গাজীর স্ত্রী।
জানা যায়, গোপন সংবাদে বিএসএফের একটি দল অভিযানে নামে। বেশ কিছুক্ষণ পর সাইকেলে এক নারী সীমান্ত থেকে আসছেন। ধাওয়া করলে সাইকেলসহ ওই নারী নিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো চারটি সোনার বার রাস্তায় পড়ে যায়।
সোনার বারসহ ওই নারীকে আটক করা হয়। জব্দ সোনার ওজন ৪১৭ গ্রাম এবং যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৩২ রুপি।
জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা খাতুন জানান, এ সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তিনি ভারতীয় এবং কিছুদিন থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য ছোটখাটো চোরাচালানের কাজ করছেন। তারালি গ্রামের ঈদগাহের কাছে বাংলাদেশের নাগরিক মাহিদুল গাজী তাকে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ৪ সোনার বার দেন। সেই সোনাগুলো ভারতীয় সীমান্তের তারালি গ্রামের মাঠপাড়ার কাছে (সীমান্ত বেড়া লাইনের ওপারে) এক অজ্ঞাত ভারতীয় নাগরিকের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। মাহিদুল জানিয়েছিলেন, সাদা শার্ট পরা এক অচেনা ভারতীয় লোককে সেখানে পাওয়া যাবে। সোনাগুলো তাকে দিলে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে ১ হাজার রুপি পেতেন ফাতেমা।
এ বিষয়ে বিএসএফের ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে চোরাচালান রুখতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরীব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণে অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। চোরাকারবারিরা সরাসরি চোরাচালানের জড়ায় না। গরিব মানুষকে টার্গেট করে। আটক নারী ও জব্দ সোনা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য তেঁতুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।