সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে দুই জেলে নিহত হয়েছেন বলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়িতে সংবাদ দিয়েছেন এক জেলে। এরপর থেকে ওই জেলেও নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। তবে তাদের সন্ধান পেতে মাঠে নেমেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী এলাকার বিপরীতে ভারতের পাইজুরি নামক খালে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২), একই গ্রামের মনোমিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০) ও সাত্তারের ছেলে আবু মুসা (৪১)।
শ্যামনগন উপজেলার নীলডুমুর ১৭ বিজিবির সিও ইয়াছিন চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মৎস্যজীবী আবু মুসা তার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান রতন ও মিজানুরকে বাঘে ধরে মেরে ফেলেছে। তিনি বেঁচে আছেন। তারপর থেকে আবু মুসার মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে। তারা তিনজন একত্রে ছিলেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবন ভারতের অংশের মধ্যে পাইজুরি (ম্যাপে নেই) খাল এলাকায়। ওই একটি মাত্র ফোন কলই ঘটনার মূল সূত্র। এছাড়া এখনও কোনো সূত্র আমরা পাইনি।
‘সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা বলছেন এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে অনুসন্ধান শুধু করেছেন বলে জানিয়েছেন।’
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকেও বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে অনুসন্ধান চলছে। প্রকৃত অর্থে ওই তিন জেলে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন কিনা সেটি এই মুহূর্তে বলা যাবে না বলেও জানান তিনি।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, রাত থেকে এখনও নিখোঁজ তিন জেলের সন্ধান মেলেনি। রহস্যময় ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাচ্ছি আমরা। মাছ বা কাকড়া ধরতে গেলে ভারতের মধ্যে যাবে কেন।
কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। ভারতে আমরা প্রবেশ করতে পারছি না। এ ঘটনায় এখনও কোনো রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।