1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

অক্টোবরেই আসছে করোনার ভ্যাকসিন: ফাইজার সিইও

  • Update Time : শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০
  • ১৭০ Time View
ফাইজার সিইও অ্যালবার্ট বোরলা

প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: কোভিড-১৯ রোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়ো এন টেক। তারা এখন সফল ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে। টাইম অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা বলেছেন, তাঁরা আশা করছেন, আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ তাঁদের ভ্যাকসিনের জন্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়ে যাবেন। সেপ্টেম্বরে তাঁরা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ফল জেনে যাবেন।

১ জুলাই ফাইজার তাদের ভ্যাকসিনের ইতিবাচক ফল জানিয়ে দাবি করে, এটি স্বাস্থ্যবান মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তবে এটি বেশি মাত্রায় দেওয়া হলে জ্বরসহ অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিনের প্রথম ক্লিনিক্যাল তথ্য ‘মেডআরএক্সআইভি’ সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়। ইতিবাচক ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বার্ষিক ভ্যাকসিন ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১০ কোটি করেছে।

বোরলা বলেছেন, তাঁরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডোজ বিক্রি নিয়ে বাণিজ্যিক আলোচনা করছেন। তাঁর কোম্পানি এফডিএর অনুমোদন পাওয়া আগেই উৎপাদনপ্রক্রিয়া শুরু করবে। তাঁরা ঠিক পথেই এগোচ্ছেন। এটি অপ্রচলিত পদ্ধতি বলে এতে ঝুঁকি বেশি। জার্মান জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা বায়ো এন টেককে সহযোগী করে মেসেঞ্জার আরএনএ (এমআরএনএ) পদ্ধতিতে এ ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার। তবে বোরলা স্বীকার করেছেন, এর আগে কোনো কখনো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে এমআরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি। চলতি মাসের শেষ দিকে বড় আকারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বিশ্বের ১৫০টি স্থানে ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে।

ফাইজারের সিইও বোরলা (৫৮) গ্রিসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফাইজারের প্রধান নির্বাহী হওয়ার আগে চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি ভ্যাকসিন বিক্রি করার কথা বললেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের মধ্যে এটি বিনা মূল্যে দিতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে উদ্যোগী হতে বলছেন।

ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে টাইমসের প্রশ্নের জবাবে বোরলা বলেছেন, মানুষের ক্ষেত্রে তাদের ভ্যাকসিনটি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যাঁরা ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন, সবার ক্ষেত্রেই এ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সবার ক্ষেত্রেই ভাইরাসটি মারা গেছে। আমরা জানতে পেরেছি যে ভ্যাকসিনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। আমি যখন তথ্য দেখেছি এবং এখনো প্রকাশ হয়নি, এমন তথ্য পর্যালোচনা করেছি, তখন আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি বলে আলোচনা করেছি। এখন আমরা কবে তা ছাড়ব, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি।

কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে বোরলা বলেন, নির্ভুল ও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গেলে চূড়ান্ত গবেষণার ফল পাওয়ার পরে আমরা তা জানতে পারব। তবে এটি কার্যকর প্রমাণ হতে পারে, তার প্রচুর ইতিবাচক চিহ্ন আমি দেখেছি। ভ্যাকসিনটি কার্যকর হবে কি না, তা বলার জন্য যথেষ্ট তথ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আমাদের হাতে থাকবে। এ তথ্য এফডিএর অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়া হবে। আমাদের ভাগ্য ভালো হলে অক্টোবরের সম্ভাব্য অনুমোদন পেয়ে যেতে পারি। এটা সম্ভব।

বোরলা বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মজার অংশ হচ্ছে, আমরা যদি এর কার্যকারিতা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারি এবং এফডিএর অনুমোদন পাওয়া যায়, তবে তখন ভ্যাকসিন প্রস্তুত থাকবে। এটা আগে কখনো হয়নি। অনুমোদনের আগেই ভ্যাকসিন তৈরি করে রাখা হচ্ছে। শিগগিরই প্রকৃত ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন বোতলজাত করার আগে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়। এর জন্য ১০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে ফাইজার।

ভ্যাকসিন যদি নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রমাণিত না হয়, তবে কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে বোরলা বলেন, ‘সব ভ্যাকসিন ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। এতে কেবল আমাদের পয়সা পানিতে ফেলা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..