জবি প্রতিনিধিঃ গত ২৫ জুন ইউজিসির বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর অনলাইন ক্লাস শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। অনলাইনে ক্লাস হলেও হবে না পরীক্ষা জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। তবে অনলাইন ক্লাসের সফলতায় সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেট পরিসেবা। তারপরও প্রশাসনের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী গ্রামে অবস্থান করছে। এমন অবস্থায় ভালো ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। সাধারণত অনলাইন ক্লাসগুলো জুম কিংবা গুগল মিটের মাধ্যমে হয়ে থাকে যার জন্য প্রয়োজন উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্হা। এছাড়াও বেশিরভাগই শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত পরিবারের হওয়ায় ইন্টারনেট পরিসেবা নিশ্চিত করাও তাদের জন্য কষ্টসাধ্য।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাস শুরুর বিষয়ে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্লাসের ভিডিও ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করতে হবে যেন শিক্ষার্থী যেকোনো সময় তা দেখতে পারে। ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হলে ৩ সপ্তাহ সময় দেয়া হবে, সেসময় ব্যবহারিক ক্লাস হবে। এরপর একসাথে অনুষ্ঠিত হবে দুইটি সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্রামে থাকা শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সেবা কতটা পাবে তা নিশ্চিত না, আর তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ইন্টারনেট প্যাকেজ এর অধিক মূল্য যা অনেকেটা ক্লাস কার্যক্রমে সবার অংশগ্রহণে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। পরিসংখ্যান ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী সজল বলেন, এটা ভালো যে আমরা পড়াশোনার মধ্যে থাকবো, সময়টা অযথা নষ্ট হবে না। আর যারা ক্লাসে অংশ নিতে পারছে না তারা সময়সুবিধা অনুযায়ী ইউটিউব থেকে ক্লাস করে নিতে পারবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, শিক্ষামন্ত্রনালয়, ইউজিসি, এটুআই মিলে কাজ করছে, যাতে করে সবাই অনলাইন ক্লাসের আওতায় আসতে পারে। আর এটা যাতে, দ্রুত কার্যকর হয় এজন্য আবেদন করা হয়েছে।