প্রত্যয় নিউজডেস্ক: সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পর অপহৃত ভারতীয় নাগরিক ওয়ানশিম্পার বিয়ামকে উদ্ধার করা হয়েছে। নগরের একটি কলোনি থেকে সিলেট মহানগর পুলিশের সিআরটি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি যৌথ দল তাকে উদ্ধার করেছে।
এ সময় ওই ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের দায়ে ৪ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (৪ অক্টোবর) ভোর ৫টায় নগরের কলাপাড়ার আম্বিয়ার কলোনীতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের টইল দল রোববার ভোরে ৫ নগরের শেখঘাট কলাপাড়ার আম্বিয়ার কলোনিতে অভিযান চালায়। এ সময় কলোনির সুজিত বিশ্বাসের ঘর থেকে সিলেটের সীমান্ত উপজেলা জৈন্তাপুরের কেন্ডি কাঠালবাড়ি গ্রামের অর কুমার বিশ্বাসের ছেলে নীল মনি বিশ্বাস (২৫), অতুল দেবনাথের ছেলে দোলন দেবনাথ (২২), একই উপজেলার চানপুর গ্রামের মহানাথ বিশ্বাসের ছেলে সুজিত বিশ্বাস (৩৭) , শিকার খাঁ গ্রামের মৃত মন নমের ছেলে নিতাই নমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের লাদ্রিমবাল এলাকার ওয়ানশুক বালাহের ছেলে ওয়ানশিম্পার বিয়ামকে উদ্ধার করে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ভারতীয় ওই নাগরিক বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে গরু কেনাবেচার উদ্দেশ্যে
জৈন্তাপুরের কেন্ডি গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু (৩০) , একই গ্রামের মৃত টিয়া বিশ্বাসের ছেলে রিপন বিশ্বাসের সাথে কথা বলে তামাবিল স্থলবন্দরের কাটাতার বিহীন সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
পরে গ্রেফতারর বাংলাদেশি নাগরিকরা তাকে অপরহণ করে শেখঘাট কলাপাড়ার আম্বিয়ার কলোনিতে আটকে রাখে। তাকে উদ্ধারের সময় বাংলাদেশে প্রবেশের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে রোববার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ওই ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট ১৯৫২ এর ৪ ধারায় থানায় মামলা করে। দুটি মামলায় গ্রেফতার ভারতীয় নাগরিকসহ চার অপহরণকারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।