কক্সবাজার সংবাদদাতা:অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রিমান্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুব শিগগিরই র্যাব হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ । গত ১৭ আগস্ট সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজারের জলতরঙ্গ রিসাের্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
সংবাদ মাধ্যম কে বলা হয়েছে ঘটনার মুল সাক্ষী শিপ্রা ও সিফাতের কম্পিউটার ডিভাইস সহ ২৯ টি সামগ্রী কক্সবাজারের রামু থানায় পুলিশের হেফাজতে রক্ষিত রয়েছে । বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র্যাব হেফাজতে নেওয়া হবে । এই মামলার তদন্তের স্বার্থে কথা চিন্তা করে কম্পিউটার ডিভাইস গুলাে থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উৎঘাঠন করা সম্ভব হবে ধারণা করছে লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ । ইতােমধ্যে র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের চার সদস্য ও সন্দেহভাজন তিন আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । আমরা তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি । দক্ষ ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে এই মামলা তদন্ত করছে রর্যাব । এই পযর্ন্ত যা তদন্তে শেষ হলে পুরাে বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে বুঝা যাবে ।বলাবাহুল্য যে গত সােমবার ১৭ আগষ্ট বিকালে টেকনাফের শামলাপুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র্যাব এর মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন । আগেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছি আমরা।
কক্সবাজার জেলা কারাগার সুপার মােকাম্মেল হােসেন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে জানান , বেলা ১১ টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ,পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক(এসআই ) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন । এর আগে গত ১৬ আগষ্ট রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর রােহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে তদন্ত কমিটি গণশুনানি শুরু করে । ওই শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে ১১ জনের নাম নিবন্ধন করা হয় । নিবন্ধনকৃত এসব সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নেয় তদন্ত কমিটি । গত ১২ আগস্ট তদন্ত কমিটির সদস্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মােহাম্মদ শাহজাহান । আলী একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন । এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের কমিটি গণশুনানির আয়ােজন করা হয়েছে । উক্ত গনশুনানিতে অংশ নিতে স্থানীয়দের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি । গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসাের্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব) সিনহা মাে:রাশেদ ।
এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় । পরে রিসাের্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয় । দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত । ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছে । তাদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীকে রিমান্ড শুনানি করছে । তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।