পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ধৈর্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে রোববার (১৮ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদ মিমাংসার কূটনৈতিক নীতির প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নীতির মাধ্যমে তিনি আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন পথ উন্মোচন করেছেন। এই নীতি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সামনে রেখেছে এবং লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
ড. মোমেন বলেন, পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞরা এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব এবং উন্নয়নের প্রশংসা করতে ভুলে যান না।
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস তার অভ্যন্তরীণ উৎসাহ ও দিক-নির্দেশনায় চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহীত ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরীতা নয়’ এই নীতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে ১৪৭টি অভিনন্দন-বার্তা ও ৩০টি ভিডিও বার্তা পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান।
মোমেন বলেন, আমাদের ফরেন সার্ভিসগুলোতে দায়িত্বরত অনেক কর্মকর্তার কঠোর পরিশ্রমের কারণেই আন্তর্জাতিক শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক কাজে বাংলাদেশের অবদান রাখা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে আমাদের দেশ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে আমরা বিগত পাঁচ দশক ধরে বিদেশে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে বিদেশি মিশনগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলমান ভয়াবহ মহামারিকালে সাহসিকতার সঙ্গে এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করায় বিশ্বের বিভিন্নস্থানে কর্মরত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানান।
দেশ গড়তে অর্থনৈতিকভাবে অবদান রাখায় এবং আর্ন্তাতিকভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী কর্মরত প্রায় ১২ মিলিয়ন বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি কূটনৈতিকদের সাহসী ও গৌরবময় অবদানের কথা স্মরণ করে দিবসটি পালন করা হয়। ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিন কলকাতায় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আনুগত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশি কূটনীতিকরা পাকিস্তান ডেপুটি হাইকমিশনের কার্যালয় দখল করে ভবনের ছাদে বাংলাদেশের পতাকা উত্তলন করেন। এটাই ছিল বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম মিশন।