গ্রিসে পাওয়া একটি মাথার খুলিকে ২ লাখ ১০ হাজার বছরের পুরনো বলছেন তারা; এটি এমন এক সময় যখন সমগ্র ইউরোপ নিয়ান্ডারথাল (সেকেলে মানুষের আরেকটি প্রজাতি) মানবদের দখলে ছিল।
এ আবিষ্কার আফ্রিকা থেকে আধুনিক মানুষের প্রথম দিককার অভিবাসনেরও নজির; আজকের জীবিত মানুষের ডিএনএ-তে যাদের কোনো অস্তিত্বই নেই।
বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার গবেষকদের নতুন এ আবিষ্কারের খবর ছেপেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
১৯৭০-র দশকে গবেষকরা গ্রিসের আপিদিমা গুহায় দুটো গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম খুজে পান ।
এর একটি অত্যন্ত বিকৃত ছিল, অন্যটি অসম্পূর্ণ। কম্পিউটার টোমোগ্রাফি স্ক্যানিং ও ইউরেনিয়াম-সিরিজ ডেটিংয়ের মাধ্যমে গবেষকরা এ জীবাশ্ম দুটোর রহস্য উদঘাটন করেন।
তুলনামূলক পূর্ণাঙ্গ খুলিটি জীবাশ্মটি একজন নিয়ান্ডারথাল মানবের বলে ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু অন্যটি আধুনিক মানুষের মাথার খুলি পরীক্ষা করলে যে ধরনের নমুনা পাওয়া যায়, তেমন পেছনদিকে গোলাকৃতির পরিষ্কার বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। তাই এটিকে আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্সের সবচেয়ে পুরনো নমুনা বলে মনে করছেন তারা।
ইউরোপ ও এশিয়ায় আধুনিক মানুষের বিস্তৃতি কালে এই পূর্বপুরুষরা তাদের সঙ্গে লড়াইরত নিয়ান্ডারথাল ও ডেনিসোভান প্রজাতিকে ইউরোপ ও এশিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করেছিলো।
মানুষের উৎপত্তি আফ্রিকা মহাদেশে বলে ধারণা করা হয়। ৬০ হাজার বছর আগে বর্তমান মানুষের পূর্বপুরুষরা আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম