প্রত্যয় নিউজডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের বন্ধু ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের সব মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি; মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মানুষকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল। ইতিহাসকে হত্যা করা হয়েছিল, মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগকে নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছিল। নৌকায় ভোট দিলে ইসলাম থাকবে না, মসজিদে আজান হবে না, দেশ ভারত হয়ে যাবে- এসব অপপ্রচার চালানো হয়েছিল।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। করোনার সংক্রমণ উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মী এ সভায় অংশ নেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন খাঁটি মুসলমান। তিনি ইজতেমায় জমি দান করেছিলেন, কওমি মাদরাসা বোর্ড গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর মুখেও আপস করেননি। সাহসিকতা, সততা এবং আদর্শের জন্য সারাবিশ্ব স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল তিনিই বঙ্গবন্ধু। শোকাবহ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। যারা নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে সিংড়ায় উন্নয়ন হয়নি। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তারা জনগণকে ধোঁকা দিয়েছিল। গত ১২ বছরে আমরা সিংড়ার অবহেলিত জনপদের উন্নয়ন করেছি। আজ সেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছে। এই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে আমাদের সরকার। সুকাশের বামিহাল মাদরাসা, কাকিয়ান মাদরাসা, নিশ্চিন্তপুর, দুর্গাপুর স্কুল, কালভার্ট, সেতুসহ সব উন্নয়ন আমাদের সরকারের।
পলক বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে সুকাশের ভয়াবহ অবস্থা ছিল। মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। দিন-দুপুরে ডাকাতি হয়েছে। প্রতিবাদ করার সাহস মানুষের ছিল না। মানুষ বিচার পেত না। চুরি-ডাকাতি, হামলা-মামলা, হত্যা করে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ শান্তিতে ঘুমায়।
সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হালিম মো. হাসমতের পরিচালনায় শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক ইটালি ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল ও সুকাশ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ।