নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলীর বঙ্গবন্ধু পরিষদের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি দেখা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি।আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠনের অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের আয়োজনে আইন অনুষদের ডিন কক্ষে অনুষ্ঠিত সদ্য বিদায়ী ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিএনপিপন্থী এই শিক্ষক নেতা। এসময় ড. ইয়াকুবকে সামনের সারিতে বসতে দেখা যায়। যা নিয়ে জিয়া পরিষদসহ শিক্ষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ড. ইয়াকুবের বিরুদ্ধে ভিসির পাশাপাশি থেকে বিভিন্ন সুবিধা নেওয়া ও ইতিপূর্বেও আওয়ামী সংগঠনের বেশ কিছু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের অভিযোগ করেছেন জিয়া পরিষদের শিক্ষক নেতারা। তাদের অভিযোগ, ড. এয়াকুব আওয়ামীপন্থী শিক্ষদের সাথে গোপনে আতাঁত করে তার নিজস্ব উদ্দেশ্য হাসিল করছেন।
তিনি জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি হলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজ দলের কর্মীদের থেকে বেশি যোগাযোগ বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সাথে। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকে একের পর এক সুবিধা নিয়ে চলেছেন ড. ইয়াকুব। এটিকে ভালভাবে নিচ্ছে না আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরাও।
জিয়া পরিষদের বেশ কয়েকজন শিক্ষকদের দাবি তিনি সদ্য সাবেক উপাচার্যপন্থী শিক্ষদের প্যানেল মেইনটেন করেন এবং বিভিন্ন সময়ে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যাতে তার বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড ও অন্যান্য সুবিধা আদায় করতে পারেন। সদ্য সাবেক উপাচার্যের মেয়াদে গঠিত কয়েকটি কমিটিতে তার নাম দেখা গেছে। যদিও ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর ৪ বছরে কোন কমিটিতেই বিএনপিপন্থী কোন শিক্ষকদের কোন নাম খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে রেখে উপাচার্যপন্থী আওয়ামী সংগঠনকে ভোট প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। প্রকাশ্যে এভাবে আওয়ামী সংগঠনরে সাথে আতাঁত করে চলে তিনি দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ করেন জিয়া পরিষদের শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে ড. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আগের দিন উপাচার্য স্যার আমাকে অনুরোধ করেছেন যে, আপনি একজন প্রশাসনিক লোক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আমার একজন সহকর্মী বিভাগে যোগদান করছেন এজন্য আমি উপস্থিত ছিলাম। কোনো সংগঠন বা ফোরামের হয়ে না।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু হেনা মোস্তফা জামাল বলেন, ‘তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি সে সময় ওই ভবনে থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।’
এ বিষয়ে ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘একজন শিক্ষক ব্যাক্তিগতভাবে কাউকে সংবর্ধনা জানাতে পারেন তবে অন্যকোনো ব্যানারেরর সাথে তার এমন উপস্থিতি দৃষ্টিকটু। জিয়া পরিষদের শিক্ষকদের মধ্যে এটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে। প্রমাণ হাতে পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’