আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় সামরিক অভিযানের লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থতা এবং সেখানে আটক জিম্মিদের সবাই এখনও মুক্তি না পাওয়ায় গত বেশ কিছুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যাপক সমালোচনা চলছে ইসরায়েলে। গত কয়েক মাসে সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নাগরিকরা।
এই পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচনের দাবিতে তৎপরতা শুরু করেছিল ইসরায়েলের বিরোধী দলগুলো; আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব সম্বলিত একটি বিল দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে উত্থাপনও করা হয়েছিল সম্প্রতি। তবে গতকাল বুধবার বিলটি বাতিল হয়ে গেছে।
বুধবার পক্ষে-বিপক্ষে এমপিদের ভোট আহ্বান করে নেসেটে উত্থাপন করা হয় সেই বিল। ১২০ আসনবিশিষ্ট নেসেটে বিলটি পাসের জন্য প্রয়োজন ছিল অন্তত ৬১টি ভোট। কিন্তু ভোটাভুটির পরে দেখা যায় বিলটির পক্ষে পড়েছে ৫৩টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়েছে ৬১টি ভোট। বাকি ৬ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে নতুন সেনাসদস্য আহ্বান করে সেনা সমাবেশ ডেকেছিল নেতানিয়াহুর সরকার, তারপরেই এই বিল প্রস্তুতের কাজ শুরু করে বিরোধী দল।
নেসেটে বিল বাতিল হওয়ায় এ যাত্রায় ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকে বেঁচে গেলেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের পার্লামেন্টারি আইন অনুসারে, আগামী অন্তত ৬ মাস পর্যন্ত আগাম নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিল নেসেটে জমা দিতে পারবেন না বিরোধীরা।
তবে আগাম নির্বাচনের দাবি ইসরায়েলে দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ সম্প্রতি দেশজুড়ে একটি জনমত জরিপ চালিয়েছিল। সেখানে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ আগাম নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
সূত্র : ফ্রান্স ২৪