ওয়েব ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে তার প্রমাণ তারা (নির্বাচন কমিশন) নিজেরাই দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনের কোনো রদবদল করবে না বলে তারা জানিয়েছেন। তাদের জন্য এটাই স্বাভাবিক।’
সোমবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশন কী করে গ্যারেন্টি দিতে পারে যে, এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো নির্বাচনী আত্মহত্যা।’
এসময় জামায়াতের নিবন্ধন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাইকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বাতিল করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে আপিল করা হয়েছিল গতকাল (রোববার) তা ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়েছে। আপিলকারী দল রায়টিকে ‘ন্যায় ভ্রষ্ট’ বলে উল্লেখ করে তাদের সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে।
‘নির্বাচনের মাঠ খালি করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাজা’
দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ ১৪ জন নেতা এবং রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুব দলের সহসভাপতি তারেক হাসান সোহাগ, মহানগর যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জহির আলম নয়নকে ‘মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী রায়ে সাজা’ প্রদানের নিন্দা জানান রিজভী।
তিনি বলেন, এসব ফরমায়েসী রায় সুপরিকল্পিত। নির্বাচনের আগে মাঠ ফাঁকা করার জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের শুধু মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারই নয়, পুরনো মামলায় সাজা দেয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে।
‘কারাগারে বিরোধী নেতাদের ডিভিশন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত’
কারাগারে বিরোধী দলের সাবেক এমপি দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাবেক এমপি জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকনকে কারাগারে ডিভিশন না দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘সংসদ সদস্য ছিলেন তাদের ডিভিশন হয় না। কিন্তু আমি জানি, আমাদের তো প্রায়ই এ্ সরকারের আমলে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে.. শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলের কানেকশনের কারণে।
আর দেশের সুপরিচিত রাজনীতিক ও এমপিদের ইচ্ছাকৃতভাবে ডিভিশন দেওয়া হয়নি, তাদের অমানবিক পরিবেশে মেঝেতে থাকতে দেওয়া হয়েছে। এ শীতে মেঝের ঠাণ্ডায় তারা চরম শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগে ভুগছেন। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ এখনো তাদের ডিভিশন দিচ্ছে না।