1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ঈমান বৃদ্ধির আমল

  • Update Time : বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০
  • ২০৮ Time View
ঈমান বৃদ্ধির আমল

প্রত্যয় ধর্ম ডেস্ক: ঈমান আল্লাহ ও বান্দার মাঝের সেতুবন্ধন। ঈমান হ্রাস পেলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কও হ্রাস পায়। আর ঈমান বৃদ্ধি পেলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কও বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন কারণে বান্দার ঈমানে প্রভাব পড়ে। ঈমান বৃদ্ধির বিভিন্ন আমল পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে। নিচে এমন কিছু আমল উল্লেখ করা হলো-

কোরআন তেলাওয়াত করা : কোরআন তেলাওয়াত করলে ঈমান বাড়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন তাদের সামনে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়।’ (সুরা আনফাল : ২)’

সাহাবাদের জীবনী চর্চা করা : আল্লাহ তায়ালা সাহাবায়ে-কেরামের ঈমানকে আমাদের ঈমানের জন্য আদর্শ বানিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘লোকেরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন।’ (সুরা বাকারা : ১৩)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবারা যেভাবে ঈমান এনেছে, তোমরাও সেভাবে ঈমান আন।’ (তাফসিরে তাবারি, এই আয়াতের তাফসির)

আল্লাহর জিকির করা : দুর্বল ঈমানের সুস্থতার জন্য জিকির খুবই উপকারী। আল্লাহর জিকির অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রা’দ ২৮)

আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা : আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আসমান ও জমিন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৯০)

আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব ও শত্রুতা : মুমিনদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব রাখা আর কাফিরদের সঙ্গে শত্রুতা রাখা ও সম্পর্কচ্ছেদ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে তোমাদের বন্ধু হচ্ছেন কেবলমাত্র আল্লাহ, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈমানদারেরা নামাজ কায়েমকারী, জাকাত আদায়কারী এবং রুকু আদায়কারী।’ (সুরা মায়িদা : ৫৫)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে, আল্লাহর জন্য প্রদান করে এবং আল্লাহর জন্য প্রদান থেকে বিরত থাকে সে ঈমান পরিপূর্ণ করেছে। (আবু দাউদ : ৪৬৮১)

বিনম্রতা ও লজ্জাশীলতার গুণ : হাদিসে লজ্জাকে ঈমানের অঙ্গ বলা হয়েছে। হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) এক আনসারী সাহাবির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সাহাবি তার ভাইকে লজ্জার ব্যাপারে উপদেশ দিচ্ছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। কেননা, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।’ (বুখারি : ২৪; মুসলিম : ৩৬; তিরমিজি : ৬২১৫)

সর্বোপরি বেশি বেশি নেক আমল করা এবং যাবতীয় গুনাহ বর্জন করা। কেননা যেকোনো নেক আমল ঈমানকে বৃদ্ধি করে। এজন্য কোরআন মজিদে যত জায়গায় ঈমানের কথা এসেছে তত জায়গায় পাশাপাশি নেক আমল করার কথাও এসেছে। পরিশেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, হে আল্লাহ! আপনি ঈমানকে আমাদের নিকট প্রিয় করে দিন এবং ঈমানকে আমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দিন। কুফর, পাপাচার ও আপনার অবাধ্যতাকে আমাদের নিকট অপছন্দনীয় করে দিন এবং আমাদের সুপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..